নিজস্ব প্রতিবেদক
Published:06 Sep 2022, 07:27 PM
আখাউড়ায় নজর কাড়ছে ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় দর্শনার্থীদের নজর কাড়ছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর। মঙ্গলবার সকাল থেকে দর্শনার্থীদের জন্য ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘরটি উম্মোক্ত করে দেওয়া হয়। এক নজরে এই ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর দেখার জন্য সকাল থেকেই বিভিন্ন শ্রেণির লোকজনের এসে ভিড় করছে।
এর আগে সোমবার রাতে কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশন থেকে এই যাদুঘর ট্রেনটি আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে এসে পৌঁছান। ট্রেনটি এই স্টেশনে তিন দিন থাকবে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা এবং বিকাল ৪টা থেকে ৬টা পযর্ন্ত সবার জন্য জাদুঘর উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
এই জাদুঘরটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন সংগ্রাম, স্বাধীনতা যুদ্ধ আর ইতিহাস আর কর্মময় জীবনের ধারাবাহিক ১২টি পর্ব নিয়ে সাজানো হয়। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের অজানা তথ্য পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে মুজিব জন্মশত বর্ষ ও স্বাধীনতার সুর্বণ জয়ন্তী উপলক্ষে ব্যতিক্রমী এ আয়োজন করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় এই ট্রেনটি উদ্ধোধনের পর থেকে বিভিন্ন স্টেশনে ঘুরে এখন আখাউড়ায় আসে। মুহুর্তের মধ্যে এই খবর ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ইতিহাস সম্পর্কে জানতে ছুটে আসছেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বদ্যিালয়ের শিক্ষার্থী কাজী জান্নাতুল মাওয়া বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে পাঠ্য বইতে কিছু পড়ে জেনেছি। তবে বঙ্গবন্ধুর ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘরে এসে বঙ্গবন্ধুকে নতুন করে জানতে পেরেছি। তার ত্যাগ, সাহস ও প্রতিবাদের ভাষা আমাকে অনুপ্রেরণা জাগিয়েছে। আমি বঙ্গবন্ধুর আর্দশ বুকে ধারণ করে বড় হতে চাই। তার স্বপ্নের উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়তে সার্বিকভাবে কাজ করতে চাই।
শহীদ স্মৃতি কলেজের শিক্ষার্থী তানজুমা আক্তার ফারিয়া বলেন এই যাদুঘর উদ্ধোধনের পর থেকেই দেখার একটা ইচ্ছা তৈরী হয়। কখন ট্রেনটি আখাউড়ায় আসবে অপেক্ষা করেছি। জাদুঘরে জীবন্ত ইতিহাস দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগছে।
মো: সুমন মিয়া বলেন, বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস সম্পর্কে আমার তেমন বেশী জানা ছিলনা। লোকমুখে সভাসমাবেশে যা শুনেছি তাই জেনে আসছিলাম। কিন্তু আজ এই যাদুঘরের কল্যানে তার জীবন্ত সাহসী ইতিহাস জানতে পারলাম। জাদুঘরে আমাদের জাতির পিতাকে খুবই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এটি আমার কাছে ভালো লেগেছে।
হেড টিএক্স আর মো: বদিউজ্জামান জাদুঘরটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯২০ থেকে ১৯৭৫ সাল পযর্ন্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক জীবন, মুক্তিযুদ্ধ, সংগ্রামী ঘটনাট প্রবাহ তুলে ধরা হয়েছে। সাধারণ দর্শনাথীরা হাতের আঙুল র্স্পশ করতইে ভেসে আসবে বঙ্গবন্ধু ছবি, ভাষণ, তার জীবনের নানা দিক -নির্দশনা। জাতির পিতার জীবন সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানানোর জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়। তাছাড়া যাদুঘররে বাইররে অংশে ভাষা আন্দোলন, ৬৬-এর ৬ দফা, ৬৯-এর গণ-আন্দোলন, ৭০-এর নর্বিাচন ও ৭১-এর মুক্তযিুদ্ধে স্বাধীনতার ঘোষণা, ১৭ এপ্রলি মুজবি নগর সরকার, ১৬ ডিসেম্বরের বিজয়রে চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন সুপার মো: কামরুল হাসান তালুকদার বলনে, ছাড়া যাদুঘররে মধ্যে বঙ্গবন্ধুর জন্ম থেকে শুরু করে মৃত্যু পযর্ন্ত তার কর্মময় সংগ্রামী জীবন স্থান পেয়েছে। রাখা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত জিনিসপত্র ও । এই জাদুঘরের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মরা বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ সৃষ্টি সর্ম্পকে জানতে পারছে। জাদুঘররে ১২টি কর্নারেই ভিডিও, ছবি প্রদর্শনের পাশাপাশি শ্রবণযন্ত্রের মাধ্যমে ধারা র্বণনা শোনা যাচ্ছে। তিনি বলেন এই যাদুঘর দেখতে সকাল থেকেই সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ করা যায়।
© দিন পরিবর্তন