নিজস্ব প্রতিনিধি
Published:29 Feb 2024, 04:11 PM
আত্রাই নদীর চরে কৃষকের স্বপ্ন
জে.আর.জামান, খানসামা (দিনাজপুর) :
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় আত্রাই নদীর পানি নেমে জেগে উঠেছে চর। নদীর বুকে জেগে ওঠা এসব চরে চাষাবাদ করে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির স্বপ্ন দেখছেন নদীর তীরে বসবাস করা মানুষরা। পলিমাটি মিশ্রিত হয়ে যেন উর্বর আবাদি জমিতে পরিণত হয়েছে এসব চর। আর সেখানে চাষ হচ্ছে ধান, পেঁয়াজ, গম, ভুট্টা, সরিষা, মিষ্টি কুমড়া, তরমুজ সহ নানা ধরনের শাকসবজি। এতে যেমন বেড়েছে কর্মসংস্থান তেমনি এসব ফসল ঘরে উঠলে হবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন।
খানসামা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে আত্রাই নদীর চরে আলোকঝাড়ী, বাসুলী, গোবিন্দপুর, বেলপুকুর, কায়েমপুর, জোয়ার, শুড়িগাও, আগ্রা ও চাকিনিয়া এলাকায় মোট ৫৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। এরমধ্যে বোরো ধান ৪৫ হেক্টর, পেঁয়াজ ৩ হেক্টর, মিষ্টি কুমড়া ১ হেক্টর ভূট্টা ৪ হেক্টর ও সরিষা ২ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। কৃষি বিভাগের উৎসাহে গত মৌসুমের চেয়ে চাষাবাদ বৃদ্ধি হয়েছে।
উপজেলার গোবিন্দপুর এলাকার ভ্যানচালক ছমির উদ্দিন (৬০)। প্রথমবারের মতো প্রায় ৩৫ শতাংশ চরে ফসল লাগিয়েছেন তিনি৷ ছমির উদ্দিন বলেন, এবার প্রথমবার চরে আগাম পেঁয়াজ-গম চাষ করছি। ফলন ভালো হওয়ায় আশা করি বাজারে দাম ভালো পাবো।
এনামুল ইসলাম নামের আরেক চাষী বলেন, বছরে এই সময়ে নদীতে পানি থাকে না। কয়েক মৌসুম ধরে নদীর চরে শাকসবজি চাষাবাদ করি।পরিবারের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি এসব বাজারে বিক্রি করে ভালো আয় হয়৷
খামারপাড়া ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শ.ম. জাহেদুল ইসলাম বলেন, চরে ধান ও পেঁয়াজ আবাদ অনেক ভালো হয়। সেই সাথে চরে চাষাবাদ উপযোগী ফসলের ফলন বৃদ্ধিতে কৃষকদের সহায়তা ও পরামর্শ প্রদানে আমরা কাজ করছি।
ভারপ্রাপ্ত উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবা আক্তার বলেন, অন্য আবাদি জমির সাথে চরে চাষাবাদে যেমন কৃষকরা লাভবান হচ্ছে তেমন খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ধারাবাহিকতা ও সফলতা বজায় রাখতে উপজেলা কৃষি বিভাগ সর্বদা কৃষকের পাশে রয়েছে।
© দিন পরিবর্তন