নিজস্ব প্রতিনিধি
Published:29 Feb 2024, 04:32 PM
আদালতের নির্দেশ অমান্য করে সড়ক ইজারা দিচ্ছে লালমোহন পৌরসভা!
লালমোহন (ভোলা) :
ভোলার লালমোহন পৌরসভার ভৌগোলিক সীমানার মধ্যে কোনো পরিবহনের স্যান্ড কিংবা পৌরসভার নির্দিষ্ট কোনো পার্কিং এলাকা নেই। তবুও প্রতিবছর পরিবহন স্ট্যান্ড ও পার্কিংয়ের ইজারা দিচ্ছে পৌর কর্তৃপক্ষ। এবারও বাংলা ১৪৩১ সনে এসব স্ট্যান্ড/পার্কিং ইজারা দেওয়ার লক্ষ্যে আগ্রহী ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের কাছে দরপত্র আহবান করে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন লালমোহন পৌরসভার মেয়র হাজী এমদাদুল ইসলাম তুহিন। ফলে বিগতদিনের মতো এবারও ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়কসহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের সড়কগুলোর ওপর পরিবহন দাঁড় করিয়ে টোল আদায় করবে ইজারাদাররা।
এদিকে স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌর-১ শাখা ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, হাইকোর্ট বিভাগে দায়েরকৃত রিট পিটিশন নং-৪৬৪০/২০২২ এর ২০২২ সালের ২১ এপ্রিলের আদেশের আলোকে টার্মিনাল ব্যতিরেকে কোনও সড়ক বা মহাসড়ক থেকে টোল উত্তোলন না করার জন্য সব সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভার মেয়রদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিজ্ঞপ্তি জারি করার জন্য সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের এ নির্দেশনা সব সিটি করপোরেশন ও পৌর মেয়রদের প্রতিপালন করতে বলেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
এছাড়াও পৌরসভার বিধানের ৯৮ ধারার ৭নং অনুচ্ছেদ অনুসারে শুধুমাত্র পৌরমেয়র নির্মিত টার্মিনাল ছাড়া পার্কিং ফি নামে টোল আদায় সম্পূর্ণ অবৈধ।
তবে আদালত ও স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্দেশনা এবং পৌরসভার বিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বাংলা ১৪২৯, ১৪৩০সনের মতো এবার ১৪৩১ সনের জন্যও পরিবহন স্ট্যান্ড ইজারা দিচ্ছে লালমোহন পৌরসভার মেয়র। ফলে সড়কের যত্রতত্র যান থামিয়ে টোল আদায় করছে ইজারাদাররা। আর সড়কের উপরে যান রেখে অবৈধ স্ট্যান্ড তৈরি করেছে চালকরা। একারণে সবসময়ই পৌর শহরে যানজট লেগে থাকে।
এদিকে পৌর শহরের চৌরাস্তায় আঞ্চলিক মহাসড়কের ওপর স্ট্যান্ড করে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন ইজিবাইকের চালকের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতিবছর ইজিবাইকের ট্রেড লাইসেন্স বাবদ বারোশত টাকা ও অটোরিকশার ট্রেড লাইসেন্স বাবদ ছয়শত টাকা দিতে হয় পৌরসভাকে।
চালক মো: রিপন, বিল্লাল ও মো: রাকিব জানায়, এছাড়াও প্রতিদিন পৌর টোল বিশটাকা ও মালিক সমিতির নামে আরও বিশটাকা দিতে হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পৌর এলাকায় কোনো টার্মিনাল ও পার্কিং এলাকা না থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন পৌরসভার মেয়র এমদাদুল ইসলাম তুহিন। তবে আদালতের নির্দেশনা মেনেই পরিবহন স্ট্যান্ড ইজারা দেয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
© দিন পরিবর্তন