নিজস্ব প্রতিনিধি
Published:10 Feb 2024, 04:06 PM
আন্তঃ জেলা ডাকাত দলের নেতা পরিমল গ্রেপ্তার
সিদ্ধিরগঞ্জের(নারায়ণগঞ্জ) :
আন্ত:জেলা ডাকাত দলের নেতা পরিমল ওরফে সাগর হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে র্যাব-১১ ও র্যাব-১০ সিপিসি-৩ ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি যৌথ আভিযানিক দল নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি দক্ষিণ পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক(মিডিয়া) এম.জে সোহেল।
গ্রেপ্তার সাগর হাওলাদার (৪৩) বরগুনা জেলার তালতলি থানার অংকুজানপাড়া গ্রামের মৃত অমুল্য চরণ হাওলাদারের ছেলে।
র্যাব-১০ এর সহকারি পুলিশ সুপার এম.জে সোহেল জানান, গোপালগঞ্জ জেলার মোকসেদপুর থানার বাছাড়া মধ্যপাড়া গ্রামের লোকমান কাজীর ছেলে কাজী কামরুল হাসান (৩৩) গত বছরের ১২ নভেম্বর বিকেল পৌনে ৫ টার দিকে, ঢাকা যাওয়ার জন্য ফরিদপুরের ভাঙ্গা পৌরসভার কাপুড়িয়া সদরদী এলাকার ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে অপেক্ষা করছিলেন।
তখন পরিমল ও তার দলের সদস্যরা সিলভার রঙের একটি নোয়া মাইক্রোবাসে এসে ঢাকায় পৌছে দেওয়ার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে কামরুল হাসানকে গাড়িতে উঠায়। গাড়িটি ভাঙ্গা গোল চত্তর অতিক্রম করার পর তারা ভিকটিমকে গাড়ীর মধ্যে হাত, পা বেধে মারধর শুরু করে। চিৎকার করলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তার স্ত্রীকে ফোন করে নগদ টাকা প্রেরণ করতে বলায় বাধ্য করে। পরে ভিকটিমের স্ত্রী বিষয়টি তার ভাশুর ওয়াদিজ্জুমানকে জানিয়ে ডাকাতদেরকে নগদ ও বিকাশে ৪৩ হাজার টাকা পাঠায়। টাকা পাওয়ার পর ডাকাতরা ভিকটিমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন ভিকটিমকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে।
এঘটনায় ভিকটিমের বড় ভাই কাজী ওয়াদিজ্জুমান(৪০) বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানায় একটি মামলা করেন। মামলা করার বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনায় জড়িত ডাকাতরা এলাকা ছেড়ে আত্নগোপন করেন। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব-১০, সিপিসি-৩, ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি দল চাঞ্চল্যকর এ ডাকাতি মামলার ছায়া তদন্ত শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ডাকাত দলের নেতা পরিমলের অবস্তান নিশ্চিত হয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
© দিন পরিবর্তন