logo

ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক

Published:29 Jan 2024, 04:15 PM

ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন


জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:

শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বিকালে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। ব্রিফিংয়ের আগে দুদক কমিশন বৈঠকে এ চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
দুদক সচিব জানান, দুদকের মামলায় আসামি ছিল ১৩ জন। চার্জশিটে নতুন একজন আসামি বেড়েছে। দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার শিগগিরই আদালতে চার্জশিট দাখিল করবেন।

গত ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। সংস্থার উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছিলেন।

মামলার আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও পরিচালক এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী। এ ছাড়া, অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান ও প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলামসহ গ্রামীণ টেলিকমের বোর্ডের সদস্যগণের উপস্থিতিতে গ্রামীণ টেলিকমের ২০২২ সালের ৯ মে অনুষ্ঠিত ১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঢাকা ব্যাংক লি: গুলশান শাখায় ৮ মে ২০২২ সালে একটি হিসাব খোলা হয়, যার নম্বর ২১৫১৫০০০০২৫৬৮। গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীদের পাওনা লভ্যাংশ বিতরণের জন্য গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন এবং গ্রামীণ টেলিকমের সঙ্গে সেটেলমেন্ট এগ্রিমেন্ট চুক্তি ২০২২ সালের ২৭ এপ্রিল স্বাক্ষরিত হয়। গ্রামীণ টেলিকমের বোর্ড সভার হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত ৯ মে হলেও তার একদিন পূর্বেই ব্যাংক হিসাব খোলা হয় এবং সেটেলমেন্ট এগ্রিমেন্ট ২০২২ সালের ২৭ এপ্রিল হলেও এই এগ্রিমেন্টে ৮ মে খোলাকৃত ব্যাংক হিসাব দেখানো আছে, যা বাস্তবে অসম্ভব। রেকর্ডপত্রাদি বিশ্লেষণে দেখা যায়, অ্যাডভোকেট ফি হিসেবে প্রকৃতপক্ষে হস্তান্তরিত হয়েছে মাত্র এককোটি টাকা। বাকি ২৫ কোটি ২২ লাখ ছয় হাজার ৭৮০ টাকা গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বোর্ড সদস্যদের সহায়তায় গ্রামীণ টেলিকমের সিবিএ নেতা এবং অ্যাডভোকেটসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অসৎ উদ্দেশ্যে আত্মসাৎ করেছেন। এক্ষেত্রে চুক্তির শর্তসমূহ ভেঙে জাল-জালিয়াতির আশ্রয়ে থেকে অবস্থান গোপন করা হয়েছে, যা দন্ডবিধি এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

তাই প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে দÐবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় মঙ্গলবার (৩০ মে) একটি মামলা রুজু করা হয়েছিল।



© দিন পরিবর্তন