logo

ইতিহাসের সত্য না বলা অপরাধ : মির্জা ফখরুল

দিন পরিবর্তন ডেস্ক

Published:10 Apr 2021, 06:58 PM

ইতিহাসের সত্য না বলা অপরাধ : মির্জা ফখরুল


বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ইতিহাসের সত্য না বলা অপরাধ। আওয়ামী লীগ তাদের তৈরি করা ইতিহাস প্রতিষ্ঠা করার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে।

আজ শনিবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি আয়োজিত ‘ঐতিহাসিক প্রবাসী সরকারের ভূমিকা ও প্রস্তাবিত প্রজাতন্ত্র দিবস’ শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, যারা দীর্ঘকাল ধরে স্বাধিকার-স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার লড়াই করেছেন তাদের কারো নাম উচ্চারণ হয় না। এমনকি মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, তাজউদ্দীন আহমদ, জিয়াউর রহমানের নামও আজকে উচ্চারিত হয় না।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের যুদ্ধ কোনো একক ব্যক্তি বা দলের নয়। মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল সমগ্র জাতির আত্মবিকাশের আকাঙ্ক্ষাকে কেন্দ্র করে। কিন্তু স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ সংবিধানকে ছিন্নভিন্ন করে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে জনগণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে তিরোহিত করে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতির ভাষণে আ স ম আবদুর রব বলেন, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার ভিত্তিক রাষ্ট্রীয় রাজনীতির আমূল সংস্কার করে অংশীদারত্ব ভিত্তিক শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে। এ লক্ষ্যে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রই ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ বিনির্মাণের সুনির্দিষ্ট দার্শনিক ভিত্তি।

তিনি বলেন, ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার এবং গণহত্যা শুরুর মধ্য দিয়ে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের কবর রচিত হয়। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ তাজউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে সম্পন্ন হয়। স্বাধীনতা অর্জনের সর্বোচ্চ স্তর হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধে সুযোগ্য নেতৃত্ব না থাকলে আমাদের স্বাধীনতা অর্জন চরম ঝুঁকিতে পড়তো। এসব গভীর সত্য উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হলে জাতির ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলীর মূল্যায়ন করা সম্ভব হবে না। স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ কিংবা কোনো আদর্শিক সংগ্রাম কারো একক কৃতিত্বে সম্পন্ন হতে পারে না।

আলোচনা সভায় আ স ম আব্দুর রব পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের উজ্জ্বল কীর্তির স্মারক হিসেবে ১০ এপ্রিল বা ১৭ এপ্রিলকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা করতে হবে; ঢাকায় প্রজাতন্ত্রের প্রতীক হিসেবে ‘প্রজাতন্ত্র স্তম্ভ’ স্থাপন করতে হবে; সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার- এ দর্শনের ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনায় ‘অংশীদারত্ব ভিত্তিক’ শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে; সকল রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে এবং পাঠ্যপুস্তকে প্রবাসী সরকার, মুজিব বাহিনীসহ অন্যান্যদের ভূমিকা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং মুক্তিযুদ্ধে যার যা অবদান তার স্বীকৃতি দিতে হবে।

আলোচনায় আরও অংশ নেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, ছানোয়ার হোসেন তালুকদার, সা কা ম আনিছুর রহমান খান, সিরাজ মিয়া, তানিয়া রব এবং প্রস্তাবনা উত্থাপন করেন  শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।



© দিন পরিবর্তন