নিজস্ব প্রতিবেদক
Published:24 Sep 2022, 04:59 PM
ইরানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৬
নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে ২২ বছর বয়সী কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর শুরু হওয়া বিক্ষোভে পুলিশ কর্মকর্তাসহ কমপক্ষে ২৬ জন মারা গেছেন।
ইরানের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত টেলিভিশনের বরাতে গতকাল শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছে এবিসি নিউজ। যদিও রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে নিহতদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়নি এবং তথ্যসূত্রও উল্লেখ করা হয়নি। রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত টিভি চ্যানেলের উপস্থাপক বলেন, দুর্ভাগ্যবশত ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাধারণ মানুষ ও পুলিশ অফিসারসহ কমপক্ষে ২৬ জন মারা গেছেন।
কুর্দি নারী মাহসা আমিনিকে গত ১৩ সেপ্টেম্বর তেহরানের ‘নৈতিকতা পুলিশ’ গ্রেপ্তার করে। ইরানের দক্ষিণাঞ্চল থেকে তেহরানে ঘুরতে আসা মাহসাকে একটি মেট্রো স্টেশন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি সঠিকভাবে হিজাব করেননি।
পুলিশ হেফাজতে থাকার সময়েই মাহসা অসুস্থ হয়ে পড়েন, এরপর তিনি কোমায় চলে গেলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ সেপ্টেম্বর তার মৃত্যু হয়। পুলিশ মাহসাকে হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করলেও পরিবারের অভিযোগ গ্রেপ্তারের পর তাকে পেটানো হয়। মাহসার মৃত্যুর পর থেকেই উত্তাল ইরান। ফেসবুক ও টুইটারে #mahsaamini Ges #Mahsa_Amini হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে চলছে প্রতিবাদ। দেশটির বিভিন্ন স্থানে নারীর পোশাকের স্বাধীনতার পক্ষে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলছে নিরাপত্তা বাহিনীর।
চলমান উত্তাল পরিস্থিতিতে ইরানে ইন্টারনেটের গতিও কমিয়ে দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। একটি বড় মোবাইল ফোন অপারেটরের নেটওয়ার্ক ব্যাহত হওয়ার কারণে লাখ লাখ গ্রাহকের সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
তেহরান ও দক্ষিণ ইরানের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তারা হোয়াটসঅ্যাপে টেক্সট পাঠাতে পারলেও কোনো ছবি পাঠাতে পারছেন না। ইনস্টাগ্রাম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে।
ইন্টারনেট সেবা নিয়ে ইরানি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। দেশটিতে ইন্টারনেটে হস্তক্ষেপ নতুন ঘটনা নয়। এর আগে ২০১৯ সালে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের সময়েও প্রায় সপ্তাহখানেক ইন্টারনেট বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ।
© দিন পরিবর্তন