নিজস্ব প্রতিনিধি
Published:12 Mar 2024, 05:26 PM
এক লে.কর্ণেলসহ ১৭৭বিজিপি সদস্যকে সীমান্ত থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে
বান্দরবান :
বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্ত উত্তেজনার প্রভাব এবার ছড়িয়েছে নাইক্ষ্যংছড়ি অংশে। তবে গুলাগুলি বা সংঘর্ষ নয়, বিদ্রোহীদের হামলা থেকে প্রাণ বাচাঁতে এই সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে আসতে শুরু করেছে সেদেশের সীমান্তরক্ষি বাহিনী বিজিপির সদস্যরা। গতকাল দুপুরে ও রাতে দুই ধাপে ১৭৯জন বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। তবে তাদের মধ্যে দুইজন সিভিলিয়ান দোভাষীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে মিয়ানমারে। বাকী ১৭৭জনকে সীমান্ত এলাকা থেকে সরিয়ে এনে রাখা হয়েছে উপজেলা সদরের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
এমন পরিস্থতিতে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চাকঢালা, আশারতলী, জামছড়ি, ফুলতলী এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করেছে বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষি বাহিনী বিজিবি।
বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তের ৪৫-৪৬নং সীমান্ত এলাকার জামছড়ি, আশারতলী এতোদিন ছিল শুনসান নিরব। অনেক আগেই ওপারের ক্যাম্পগুলো ছেড়ে গেছে মিয়ানমার জান্তা বাহিনীর সদস্যরা। বর্তমানে সেখানকানে অবস্থান রয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির। কিন্তু গতকাল হঠাত করে এই সীমান্ত দিয়েছে মিয়ানমারের ৫নং সেক্টরের আওতাধীন অংথাব্রে ক্যাম্প থেকে বাংলাদেশে দুই দফায় আশ্রয় নিয়েছে ১৭৭জন মিয়ানমার জান্তা সদস্য। যার মধ্যে একজন লে.কর্ণেলও রয়েছে।
আর তাদের সরিয়ে নেওয়ার তৎপরতা চলাকালীন ওপার ছুঁড়া গুলিতে আহত হয়েছে আশারতলী এলাকার ইউপি মেম্বার সাবের আহমদ। পরে তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হলে অপারেশনের মাধ্যমে তার কোমর থেকে একটি বুলেট বের করা হয়। বর্তমানে তিনি সুস্থ্য আছেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে শান্ত সীমান্তে কারা গুলি চালিয়েছে।
এদিকে গতকাল সন্ধ্যার আগে ২৯ জন বিজিপি সদস্যকে সীমান্ত থেকে সরিয়ে নেয়ার কিছুক্ষণ পর সীমান্ত দিয়ে আরও ১৫০ জন বিজিপি সদস্য পালিয়ে আসেন। সীমান্ত চৌকির বিজিবি সদস্যরা বিষয়টি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ককে জানালে আবার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সীমান্তে যান রাতে। পরে তাদের নিরস্ত্র করে উপজেলা সদরে বিজিবি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে রাখা হয়েছে।
এই বিষয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারে বিজিপি সদস্যদের বিষয়ে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষি বাহিনী বিজিবির সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে প্রশাসন। এছাড়া আইন শৃংখলা বাহিনী সর্তক রয়েছে।
© দিন পরিবর্তন