
নিজস্ব প্রতিনিধি
Published:19 Dec 2025, 05:51 PM
কৃত্রিম বুদ্ধিমাত্তা বা (AI) সফটওয়্যার নারী সমাজের চরম হুমকি!
এনালগ থেকে আজকের এই ডিজিটাল দুনিয়ায় আমরা বসবাস করছি। এই ডিজিটালাইজেশন নিঃসন্দেহে বিজ্ঞানের এক অনন্য অবদান। প্রাচীন সভ্যতা থেকে শুরু করে আজকের এই বহমান আধুনিক সভ্যতায় বিজ্ঞানীদের অবদান অপরিসীম। আর এই বিজ্ঞানীরা যুগ যুগ ধরে কালের বিবর্তনে মানব সভ্যতাকে আরও সমৃদ্ধশালী করতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন চমক উপহার দিয়েছেন। এসব চমকের ভালোর দিকটা যেমন খারাপের দিকটাও তেমন বিদ্যমান থাকে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা (AI) সফটওয়্যারও তার ব্যতিক্রম নয়। সমাজের কিছু সংখ্যক অসাধু লোক এই সফটওয়্যারের খারাপ দিকটাই ব্যবহার করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন অভিজাত ফ্যামিলির মেয়েদেরকে ট্রাপে ফেলে।
গোপন সূত্রে জানা যায় খুলনায় বসবাসকারী কিছু সংখ্যক প্রতারকচক্রের সন্ধান মিলেছে যার প্রধান হলো রাজু বিল্লাহ নামের এক প্রতারক। সুন্দরী মেয়ে, অভিজাত ফ্যামিলির গৃহিণীদের তার মিষ্টি কথার ফাদে ফেলে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করে। বিভিন্ন সময়ে তাদের ছবি তুলে নিয়ে এ. আই সফটওয়্যার এর কল্যাণে তাদের ছবি বিকৃত করে ওইসব মেয়েদের কাছে কাছে পাঠায় এবং হুমকি দিয়ে বলে তার চাহিদা পূরণ না করলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই সব ছবি ছেড়ে দেওয়া হবে। এভাবে এই প্রতারক রাজু বিল্লাহ লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
নাম জানাতে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী বেশ কয়েকজন জানান যে, রাজু বিল্লাহ খুলনার তেরোখাদার লাবুদিয়ার চরপাড়া গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে। তিনি বহু বছর ধরে এসব প্রতারণা করেই আসছেন। মানুষের মাঝে ত্রাস সৃষ্টিকারী এই রাজু বিল্লার অপকর্মের কথা তার এলাকার অনেকেই জানেন, এই প্রতারক খুলনা এবং ঢাকা মাদক সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত। তার এবং তার সহযোগীরা এসব কাজে কখনো অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, কখনো সুন্দরী এবং লোগ্রেট মেয়েদের ব্যবহার করে তাদের মাধ্যমে অন্য মেয়েদের ছবি সংগ্রহ করে (ব্লাক মেইল) ট্রাপে ফেলে। এই সমস্ত ছবি সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করার ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইলিং করে টাকা দিতে বাধ্য করে। এ কারণে তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মোবাইল নাম্বার দিয়ে মেয়েদের সাথে কথা বলেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটা নাম্বার নিম্নে দেয়া হলো:- ০১৮৩২-৮৮০৩৮৩, ০১৯৩৪-১২৬৯০৬, ০১৭৫৪-৫৮০৯৫২।
তার ব্ল্যাকমেইলিং তথা প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগীগণ জানান যে, কয়েক বছর ধরে তাদের সাথে এই লোক প্রতারণা করেই আসছেন। সত্যি সত্যি এই সমস্ত ছবি সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করে দিলে লোক সমাজে মুখ দেখাবে কি করে সেই কথা ভেবে তার চাহিদা অনুযায়ী লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতিমাসে তাদেরকে গুনতে হতো। ওই প্রতারকের চাহিদা মেটাতে মেটাতে আজকে ব্ল্যাকমেইলিং এর শিকার ভুক্তভোগীগণ সর্বশান্ত, তাদের পিঠ এখন দেয়ালে থেকে গিয়েছে। আর এ কারণেই তারা একান্ত বাধ্য হয়ে মিডিয়ার আশ্রয় নিয়েছে। প্রতারক রাজু বিল্লাহ কে আইনের আওতায় আনলে পুরোচক্রের তথ্য বের হয়ে আসবে মর্মে তাদের বিশ্বাস। ভুক্তভোগীদের ধারণা এই রাজুবিল্লা চক্র খুলনা তথা সারা বাংলাদেশেই সক্রিয়।
এই ভয়ঙ্কর প্রতারকের ব্ল্যাকমেলিং এর কবল থেকে ভুক্তভোগী গণকে রক্ষা করে তাদেরকে সুস্থ মতে বাঁচার সুযোগ দেওয়ার জন্য এই ভয়ানক প্রতারক রাজু বিল্লা এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে জরুরি আইনের আওতায় আনাটা প্রশাসনের নিকট ভুক্তভোগীদের একমাত্র চাওয়া। অন্যথায় ব্ল্যাকমেলিং এর শিকার ভুক্তভোগীগণকে নিজেদের সম্ভ্রম রক্ষা করার জন্য আত্মাহুতি দেওয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না।
© দিন পরিবর্তন