logo

গ্যাস সংকট প্রকট হওয়ার শঙ্কা!

নিজস্ব প্রতিবেদক

Published:03 Mar 2024, 04:50 PM

গ্যাস সংকট প্রকট হওয়ার শঙ্কা!


স্বস্তি নেই সাধারণ মানুষের মাঝে। বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে হুহু করে। তার সাথে যুক্ত হয়েছে বাড়তি বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম। চুপিসারের গ্রাহকের গ্যাসের প্রিপেইড মিটার ভাড়া ১০০ টাকা বাড়িয়ে নিয়েছে তিতাস। দাম বাড়ালেও ঠিকমতো গ্যাস বিদ্যুৎ পাবে কিনা তা নিয়েও রয়েছে সংশয়। বিশেষ করে রাজধানীতে গ্যাস নিয়ে গ্রাহকের ভোগান্তির শেষ নেই। পাইপলাইনে লিকেজের খবর দিলেও সংশ্লিষ্টদের সাড়া মেলে না। চুলা জ্বললেও তাতে রান্না হয় না। নতুন সংযোগ দেওয়া বন্ধ থাকলেও টাকার বিনিময়ে পেয়ে যায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ। আবার কিছুদিন পরেই অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য চলে অভিযান। বর্তমান এ অবস্থায় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রুত উৎপাদন না বাড়ালে গ্যাস সংকট আরও ভয়াবহ হবে।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর দক্ষিণ খিলগাঁওয়ে একটি বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে দুইদফা বিস্ফোরণে দগ্ধ হন ছয়জন। এ ঘটনার জন্য তিতাসের অবহেলাকে দায়ী করছেন এলাকাবাসী। তাদের অভিযোগ, এলাকার পাইপলাইনে লিকেজের খবর দেওয়া হলেও তাতে কখনো সাড়া দেয় না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এতে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। এমন অনিয়মের অভিযোগ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অহরহ। পাশপাশি বাসাবাড়িতে ঠিকমেতো মিলছে না গ্যাস সেবাও। রান্নাঘরে গ্যাসের চুলা জ্বললেও গ্যাসের চাপ না থাকায় রান্না হয় না। তাই বাড়তি টাকা খরচ করে কিনতে হচ্ছে সিলিন্ডার।

এ চিত্র রাজধানীর প্রায় সব এলাকাতেই। কোনো কোনো এলাকায় চুলাই জ্বলে না। রান্না করতে না পেরে বাধ্য হয়ে প্রায়ই অলিগলির দোকান থেকে খাবার কিনে খেতে হয় পরিবারগুলোকে।

তবে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে টাকা দিলেই মিলছে নতুন সংযোগের পাশাপাশি পুনঃসংযোগ। ২০২০ সালে বাসাবাড়িতে পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাসের সংযোগ স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয় সরকার। তবে টাকা দিলেই পাওয়া যায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ।

স্থানীয়রা জানান, নতুন করে গ্যাসের সংযোগ দেওয়া বন্ধ থাকলেও টাকা বিনিময়ে মিলছে গ্যাস সংযোগ। এসব গ্যাস লাইনের বিলও নিজেরা এসে সংগ্রহ করে সংযোগ প্রদানকারীরা। গ্রাহকদের এসব অভিযোগের বিষয় তিতাসের অফিসে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশীদ মোল্লাহর কাছে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে অভিযোগের বিষয়ে জানাতে তিনি একটি প্রশ্নের উত্তর দিয়েই ফোন কেটে দেন। তিনি বলেন, বাসাবাড়িতে গ্যাস দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। গ্রাহকরা যতটুকু পাচ্ছে ততটুকুই বেশি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রুত গ্যাসের উৎপাদন না বাড়ালে ভবিষ্যতে গ্যাস সংকট ভয়াবহ রূপ নিবে। জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এম শামসুল আলম বলেন, গ্যাস না দিয়েও সরকরি হিসেবে দেখানো হচ্ছে গ্যাস পাচ্ছে গ্রাহকরা। এই না পাওয়া গ্যাস কোথায় যাচ্ছে, সেটি খুঁজে বের করা দরকার। উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশে গ্যাসের দৈনিক চাহিদা প্রায় ৪০০ কোটি ঘনফুট। আর ঘাটতি প্রায় ১০০ ঘনফুট।

 

/মামুন



© দিন পরিবর্তন