নিজস্ব প্রতিবেদক
Published:12 Feb 2024, 12:35 PM
জোট গড়ছে নওয়াজ-বিলাওয়াল, ভাঙছে ইমরান খানের স্বপ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পাকিস্তান মুসলিম লীগ নওয়াজের (পিএমএল-এন) প্রেসিডেন্ট শেহবাজ শরীফ ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টোর মধ্যে এক বৈঠকের পর কেন্দ্র ও পাঞ্জাবে জোট সরকার গড়তে সম্মত হয়েছে তারা। তবে বিলাওয়াল ভুট্টোকে নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী করার শর্ত দেওয়া হয়েছে। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) এ খবর জানিয়েছে জিও টিভি ও দ্য নিউজ।
জিও টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাঞ্জাবের তত্ত্বাবধায়ক মুখ্যমন্ত্রী মহসিন নাকভির বাড়িতে নওয়াজ শরীফের তরফ থেকে তার ভাই শেহবাজ শরীফ পিপিপি’র বিলাওয়াল ভুট্টো ও আসিফ আলির সঙ্গে দেখা করেন। পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে’ দুই দল জোট সরকার গঠনে একমত হয়। ভবিষ্যৎ সরকার কেমন হবে তা নিয়ে আলোচনা হয় সেখানে।
দ্য নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিএমএল-এনের মধ্যে প্রায় ৪৫ মিনিট বৈঠক হয়েছে। জোট সরকার গঠনে ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টোকে নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী করার কঠিন শর্ত দিয়েছে বাবা আসিফ আলি জারদারি। সেই সঙ্গে মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি চেয়ারও দাবি করেছেন তিনি। শুধুমাত্র এই শর্তেই পিএমএল-এনকে সমর্থন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে ক্ষমতা কীভাবে ভাগাভাগি হবে তা এখনো আলোচনা হয়নি। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী কে হচ্ছেন তা নিয়ে চূড়ান্ত কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানা যায়নি।
এদিকে তাদের সরকার গঠনের বিষয়টি পিএমএল-এন ও পিপিপি রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে বৈঠকের পর আলাদা আলাদা বিবৃতিতে জানিয়েছে। পিএমএল-এনের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বৈঠকে দেশকে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা থেকে রক্ষায় দুই পক্ষের মধ্যে মতৈক্য হয়েছে।
অন্যদিকে পিপিপি বলছে, বৈঠকে সরকার গঠনে দলটির সহযোগিতা চেয়েছে পিএমএল-এন। প্রস্তাবটি নিয়ে সোমবার দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির বৈঠকে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
নির্বাচনের ফলপ্রকাশে দেরি হওয়ায় অনিয়ম কারচুপির অভিযোগ তোলে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। গত শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) থেকে রাজধানী ইসলামাবাদ ও পেশোয়ারসহ পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ করছেন পিটিআই, জেআই ও জেইউআই-এফ-এর হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থক।
পিটিআই অভিযোগ করেছে, তাদের অনেক প্রার্থী নির্বাচনে জিতলেও ফলাফলে কারচুপি করা হয়েছে। ইসলামাবাদ থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক কামাল হায়দার বলেছেন, পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিশাল ব্যবধানে জয়ী হয়েছে, এমন তিনটি আসনে স্থগিতাদেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ৬০ ঘণ্টারও বেশি সময় পর পূর্ণাঙ্গ ফলাফল ঘোষণা করেছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। দেশটির নির্বাচনে ২৬৬ আসনের (একটির ফল ঘোষণা স্থগিত ও একটিতে ভোট হয়নি) মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১০১ আসনে জয় পেয়েছেন। যাদের মধ্যে অধিকাংশই ইমরান খানের দল-সমর্থিত প্রার্থী। দ্বিতীয় স্থানে থাকা নওয়াজের দল পেয়েছে ৭৫ আসন। ৫৪ আসন নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিলওয়াল ভুট্টোর দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। এ ছাড়া মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম) ১৭ আসনে জয় পেয়েছে। বাকি ১৭টি আসনে জয়ী হয়েছে অন্যান্য দল।
© দিন পরিবর্তন