প্রতিনিধি
Published:25 Jan 2024, 04:10 PM
ঝিনাইদহে সিন্ডিকেটে বেড়েছে ঝিনাইদহে চালের দাম
ঝিনাইদহ
ঝিনাইদহে গত ২ থেকে ৩ সপ্তাহে মান ও ধরন ভেদে চালের দাম কেজিতে আগের দাম থেকে ৫/ ৬ টাকা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। আমনের ভরা মৌসুমে এমন দাম বৃদ্ধি পাওয়া ভোক্তাদের মধ্যে চরম হতাশা বিরজ করছে। মিলমালিকদের দাবি, বাজারে ধানের সরবরাহ কমায়, ধানের দাম বেড়েছে, তাই চালের দাম বেড়েছে।
আর ভূক্তভোগীদের অভিযোগ, বাজার সিন্ডিকেট কারসাজির কারনে চালের দাম বেড়েছে। আর দাম বৃদ্ধির জন্য খুচরা ব্যাবসায়ীরা, পাইকার, মিলারগন পরস্পরের দোষারোপ করছেন। তবে চালের দাম বৃদ্ধিতে দোষ যাদেরই হোক না কেন? সবচেয়ে বেশি চাপে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষেরা।
ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাঈদ সিদ্দিকী বলেন, গেল আমন মৌসুমে ১' লাখ ৪' হাজার ৩৫৫ হেক্টর আবাদ থেকে ৫' লাখ ২ হাজার ৫৩৩ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হয়। আর হেক্টর প্রতি ৩ দশমিক ৫৭ মে. টন হিসেবে চাল উৎপাদন হয়েছে ৩' লাখ ৫৭ হাজার মেট্রিক টন।
কৃষি বিপনন অধিদপ্তর জানান, ২০২২ সালে জানুয়ারীতে আমনে প্রতিকেজি মোটাচাল বিক্রি হয়েছে ৪১/৪২ টাকা, যা গেল বছরে ৪৬/৪৭ টাকা, মাঝারি ৪৬/৪৮ টাকা, গেল বছরে ৫১/৫২ টাকা, সরুচাল ৬০/৬১ টাকা, গেল বছরে ৬২/৭২ টাকা। চলতি আমন মৌসুমে মোটাচাল ৪৭/৪৮ টাকা, মাঝারীচাল ৫৩/৫৫ টাকা এবং সরুচাল ৬৪/৭৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
গতকাল রবিবার জেলার বিভিন্ন খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মোটাচাল শ্রেনী ভেদে ৪৮ থেকে ৫২ টাকা, মাঝারি চাল শ্রেনী ভেদে ৪৭ থেকে ৪৯ টাকা, সরুচিকন সাধারণত ৬৪ থেকে ৭৪ টাকায়। জেলার খালিশপুর এলাকার নূর ইসলাম বলেন, বাজার থেকে মাঝারি চিকন চাল ১'শ কেজি কিনলেন ৪৯ টাকা প্রতিকেজি। দোকানদার মোট দামের উপর ১'শ টাকা কম রাখলেন। তাহলে ৪৮ টাকা কেজি হল। তবে তারা কোন মোমো দেয়নি।
সদর উপজেলা ডাকবাংল চাতাল মিলমালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আক্তার ভান্ডারী বলেন, চাতাল এবং অটোরাইচ মিলের চালের দামে পার্থক্য রয়েছে। মোটাচাল পাইকারি (চাতাল) ২৫ কেজি ১১'শ ৬০ টাকা আর একই ওজন অটোমিল ১১'শ ৪০ টাকা। তবে চাল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন।
কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের, জেলা কৃষি বিপনন কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম জানান, ঝিনাইদহে নিয়মিত বাজার মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে। ক্রয় বিক্রয় সংক্রান্ত রশিদ যাচাই করা হয়ে থাকে। অবৈধ মজুদ পরিলক্ষিত হয়নি। তবে মিল মালিকদের অতি মুনাফা থেকে বিরত থাকাসহ ব্যাবসায়ী নীতি নৈতিকতা বিশেষ প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। অনিয়ম ও বিধি বর্হিভূতকাজ পরিলক্ষিত হলে কৃষি বিপনন আইন, ২০১৮ এর বিধি মোতাবেক ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
© দিন পরিবর্তন