logo

দৌলতপুর মাদকের স্বর্গরাজ্যে পরিণত

নিজস্ব প্রতিনিধি

Published:03 Oct 2023, 04:59 PM

দৌলতপুর মাদকের স্বর্গরাজ্যে পরিণত


দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি:  
 মাদকে ভাসছে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা। এই উপজেলাটি ভারতের সীমান্তবর্তী হওয়ায় বরাবরই মাদক ব্যবসায়ীদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। মাঝে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চাপাচাপিতে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে ছিল এই উপজেলার মাদকের ব্যবসা। তবে বর্তমানের চিত্রটা একেবারেই আলাদা, মদকের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে উপজেলাটি। হাত বাড়ালেই খুব সহজেই পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন রকম মাদক। বর্তমানে দৌলতপুর উপজেলার ধর্মদহ, বিলগাতুয়া, জামালপুর সহ বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে প্রতিরাতেই ঢুকছে বিপুল পরিমাণ মাদক। পরবর্তিতে এইসব মাদক জেলার সবকটি উপজেলা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ছে।

অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এই উপজেলার ১৪ ইউনিয়নে প্রায় ৮০০ থেকে ১০০০ টিরও বেশি মাদক বিক্রয় ও সেবনের স্পট রয়েছে। এরমধ্যে খোদ দৌলতপুর থানা ও উপজেলা পরিষদের দুই কিলোমিটারের মধ্যেই প্রায় রয়েছে ১০ থেকে ১২ টি মাদক সেবন ও বিক্রয় স্পট। এরমধ্যে উপজেলার সাদিপুর , সাহাপুর ও বেগুনবাড়ী এলাকাটা হচ্ছে মাদকের একটি উল্লেখযোগ্য স্পট। যেখানে দিন থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অনেকটা প্রকাশ্যেই বিক্রি হয় বিভিন্ন রকম মাদক। 

এইসব মাদক স্পট গুলোর মধ্যে রয়েছে খোদ দৌলতপুর থানা থেকে আধা কিলোমিটার দূরে দৌলতপুর গোরস্থান পাড়া। যেখানে প্রকাশ্য দিবালোকে বিক্রি হচ্ছে মাদক। এখানে বিভিন্ন স্থান থেকে আশা মাদক সেবীরা খুব সহজেই মাদক সেবন করে চলে যাচ্ছে। এতে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওই এলাকার সচেতন মানুষ।

অপরদিকে সীমান্ত এলাকা থেকে লোকালয়ে মাদক ঢুকে পড়ার কারণে খুব সহজে হাতের মুঠে চলে আসছে মাদক। এতে আসক্ত হয়ে পড়েছে যুবসমাজ। সে কারণে চরম হতাশা ও দুশ্চিন্তায় পড়েছে অভিভাবক সহ এই উপজেলার সাধারণ মানুষ। তারা প্রশাসনের কর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন বর্তমানে দৌলতপুরে মাদক এতটাই বেড়েছে যে, এটা এখনই নিয়ন্ত্রণ না করলে দৌলতপুরের যুব সমাজ ধ্বংস হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে প্রাগপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জামান মুকুল সরকার মাদকের প্রবণতা বৃদ্ধির বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অতীতের তুলনায় বর্তমানে মাদকের প্রবণতা অনেকটা বেশি। সে কারণে শিক্ষার্থীসহ যুব সমাজ অনেকটাই মাদকে আসক্ত হয়ে পড়েছেন।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম মাদকের প্রবণতা বৃদ্ধির বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, বিগত দিনে মাসে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ টি মাদকের মামলা হতো। কিন্তু বর্তমানে গত মাসে মাত্র ২৭ টি মাদকের মামলা হয়েছে।



© দিন পরিবর্তন