logo

নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

Published:15 Sep 2022, 06:41 PM

নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী


কোভিড মহামারির পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘ তিন বছর বিরতির পর আমার এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে।  এমন মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  গতকাল বুধবার ভারত সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।  প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সফরের পুরো সময় জুড়ে আমরা ভারতের আন্তরিকতার বহিঃপ্রকাশ ও সৎ প্রতিবেশী হিসেবে সমতা ও শ্রদ্ধার ভিত্তিতে দুদেশের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার লক্ষ্য করেছি।

তিনি বলেন, ভারতীয় নেতৃত্বের শীর্ষ পর্যায়ে, সংবাদ মাধ্যমে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে আমি বাংলাদেশের জন্য যে প্রীতি ও সৌহার্দ্য লক্ষ্য করেছি তা সত্যিই অসাধারণ।  এই প্রীতির সম্পর্ককে সুসংহত করে আমরা আরো এগিয়ে যেতে চাই।  এই সফরে সহযোগিতার যেসব ক্ষেত্র চিহ্নিত হয়েছে এবং বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে যেসব সিদ্ধান্ত হয়েছে, তা বাস্তবায়ন করলে উভয় দেশের জনগণ উপকৃত হবে বলে আমি মনে করি। 

সব মিলিয়ে পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতিতে এ সফরের মাধ্যমে দুই দেশের একসঙ্গে নতুনভাবে এগিয়ে চলার গতি সঞ্চার হয়েছে।  আমার দৃঢ় বিশ্বাস, উভয় দেশের জনগণের কল্যাণে এই সহযোগিতার ধারা অব্যাহত থাকবে এবং বাংলাদেশ ও ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়া শিগগিরই একটি সমৃদ্ধশালী অঞ্চলে পরিণত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। 

ভারত সফর থেকে শূন্য হাতে ফিরেছেন বলে বিএনপির পক্ষ থেকে যে বক্তব্য এসেছে, তা নাচক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  তিনি দেশটির সঙ্গে নানা সমঝোতা ও সহযোগিতার চুক্তির বিষয়টি তুলে ধরে বলেছেন, আমার মনে হয় না আমি শূন্য হাতে ফিরেছি।

একজন সাংবাদিক সরাসরি প্রশ্ন করেন, ভারত সফর থেকে কী পেলাম? জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, প্রশ্নটি আপেক্ষিত, এই প্রশ্নের জবাব নির্ভর করছে আপনি কীভাবে দেখছেন।  ভাগ্যিস প্রশ্ন করেননি কী দিলাম। 

ভারত সফরে নানা চুক্তি, আলোচনা তুলে ধরে তিনি বলেন, এ রকম যদি হিসাব করেন, মনে হয় না একবারে শূন্য হাতে এসেছি বলতে পাবেন না।  তাছাড়া কী পেলাম কী পেলাম না এটা তো মনের ব্যাপার।  কী পেলাম না পেলাম এটা মনের ব্যাপার।  বাংলাদেশে এত কাজ করার পর বিএনপি বলে কিছুই করিনি।  এখানে বলার কিছু নেই।  এটা মানুষের বিশ্বাসের ব্যাপার, আত্মবিশ্বাসের ব্যাপার। 

ভারত থেকে কম দামে তেল আনতে দেশটির কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত করার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এতে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বাঘাবাড়ি হয়ে উত্তরবঙ্গে তেল পাঠাতে হবে না।  সরাসরি ভারত থেকে সেখানে তেল গেলে উত্তরবঙ্গের অর্থনীতি আরো বেগবান হবে।  এই তেল আনতে পাইপলাইন করে দিচ্ছে ভারত। দিনাজপুরের পার্বতীপুরে ডিপোতে তেল থাকবে। 

ভারত থেকে এলএনজি আমদানির ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।  এই তরল গ্যাস খুলনায় আনতে চায় বাংলাদেশা গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ সেপ্টেম্ব পর্যন্ত প্রতিবেশী দেশটিতে সফর করেন সরকারপ্রধান।  দেশটির সঙ্গে সাতটি সমঝোতা সই হয় এই সফরে। 

 

শেখ হাসিনা বিদেশ সফর করলে বরাবর সে সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন।  এতে সফরের বিষয়ে একটি লিখিত বিবৃতি দেন।  পরে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাব দেন।  সেই প্রশ্নোত্তর পর্বে সাধারণত রাজনৈতিক বিষয়গুলোই প্রাধান্য পায়। 

রোহিঙ্গা সংকটে ভারতের মনোভাব- জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।  ভারতও উপলব্ধি করে আমাদের এখানে সমস্যা তৈরি হচ্ছে, প্রকৃতি নষ্ট হচ্ছে।  তাদের নিজেদের মধ্যে অস্ত্র, সন্ত্রাস, মাদক চোরাচালানসহ আরো সমস্যা বাড়াচ্ছে।  সাড়া পেয়েছি ইতিবাচক।  কিন্তু সমস্যা মিয়ানমারকে নিয়ে।  যে যত চাপ দিক, তারা ইয়ে করে না।  মানবিক কারণে স্থান দিয়েছি, কিন্তু বড় বোঝা হয়ে যাচ্ছে।  কিন্তু ফেলে তো দিতে পারি না। 



© দিন পরিবর্তন