নিজস্ব প্রতিবেদক
Published:13 Aug 2022, 03:45 PM
নেতিবাচক প্রভাব কাটিয়ে উঠতে প্রধানমন্ত্রী চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের
বলেছেন, সারা বিশ্বে জ্বালানিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে
বাংলাদেশেও একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এই নেতিবাচক প্রভাব কাটিয়ে উঠতে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তরিকভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আজ শনিবার মহিলা শ্রমিক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায়
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী
লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সারা বিশ্বের সংকটে আজ বাংলাদেশেও একটা নেতিবাচক
প্রভাব পড়েছে। সারা বিশ্বেই জিনিস পত্রের দাম বৃদ্ধি। আমরা জানি বাংলাদেশের
জনগণের কষ্ঠ হচ্ছে। আমরা বলতে পারি এই সংকট কাটিয়ে উঠতে সরকারের চেষ্টার
কোনো ত্রুটি নেই।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘুম নেই। তিনি আন্তরিকভাবে চেষ্টা
করছেন। শেখ হাসিনা’র ঘুম হারাম হয়ে গেছে, কিভাবে মানুষের একটু স্বস্তি
দেওয়া যায় সে চেষ্টা তিনি করে যাচ্ছেন।’
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই সংকটকে
কেন্দ্র করে ফ্রান্সের বিরোধী দল সরকার উৎখাতের বিক্ষোভ হয়নি,
যুক্তরাষ্ট্রে বিরোধী দল সরকার উৎখাতের বিক্ষোভ হয়নি। জার্মানিতে সরকারের
বিরুদ্ধে প্রটেস্ট হয়নি, জাপানে বিক্ষোভ করেনি। আমরা সহযোগিতা চেয়েছিলাম।
সারা বিশ^ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। আর বাংলাদেশে তারা সরকার উৎখাতের
ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন তারা মিছিল করুক। যখন মিছিল,
মিটিং করতে পারছে তখন তারা বলছে, বিদেশীদের চাপে সরকার মিছিল করতে দিচ্ছে।
আমি বলবো বিদেশেী শক্তির কাছে আমরা মাথানত করি না। মাথানত করার লোক শেখ
হাসিনা নয়। কারো কাছে আমরা মাথানত করি না।
বিএনপির উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, আগুন নিয়ে খেলতে আসবেন না বলে
দিচ্ছি। শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করুন। কিন্তু আগুন সন্ত্রাস নিয়ে
যদি নামতে চান তাহলে বলবো, জনতার প্রতিরোধ সুনামিতে পরিণত হবে। জবাব দেওয়া
হবে।
দলীয় নেতাকমীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের বলবো প্রত্যেকে
কথাবার্তায় আচার আচারণে সংযত হতে হবে। এ সময় দায়িত্বহীন কথা বার্তা বলা
সঠিক নয়। ক্ষমতার দাপট দেখানো সমিচিন নয়। ঠান্ডা মাথায় কথা বলতে হবে,
মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ তুলে ধরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন,
বঙ্গবন্ধুর খুনীরা থাইল্যান্ডে নিরাপদে পালিয়ে যায়, কে তাদের পাঠিয়েছিলো?
জিয়াউর রহমান খুনীদের অন্যান্য দেশে পাঠিয়েছিলো, চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত
করেছিলো। মোশতাকের দেওয়া ইনডেমিনিটি অডিনেন্স পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে
জিয়াউর রহমান আইনে পরিণত করেছিলো যাতে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বিচার না হয়। এ
ইতিহাস ভুলে গেলে চলবে না। বিএনপির সঙ্গে আমাদের শত্রু না। আবার ইতিহাস বলে
তারাই আমাদের সাথে শত্রুতা করেছে। বার বার তারা শত্রুতা করেছে।
মহিলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সুরাইয়া আক্তারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া, সংগঠনের সহসভাপতি শামসুর নাহার ভুইয়া, সাধারণ সম্পাদক রহিমা আক্তার সাথী প্রমুখ।
© দিন পরিবর্তন