logo

পঞ্চগড়ে বইছে শৈত্যপ্রবাহ, থমকে গেছে জনজীবন

নিজস্ব প্রতিনিধি

Published:25 Jan 2024, 05:43 PM

পঞ্চগড়ে বইছে শৈত্যপ্রবাহ, থমকে গেছে জনজীবন


পঞ্চগড়
পঞ্চগড়ে ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ডে অব্যাহত রয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এতে করে বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে থমকে গেছে উত্তরের হিমপ্রবণ জেলার জনজীবন। এ তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ায় জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলগুলোর পাঠদান বন্ধ রয়েছে।

আজ (২৫ জানুয়ারী) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল বুধবার একই সময় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকালে তাপমাত্রা রেকর্ডের তথ্যটি জানান জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যাবেক্ষনাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।

আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের দেয়া তথ্যানুযায়ী, গত ২৩ জানুয়ারী থেকেই এ জেলায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ। এর মধ্যে ২৩ জানুয়ারী ৭ দশমিক ১ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ডে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ ও গতকাল বুধবারসহ আজ দুইদিন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে এ জেলায়।

জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গতকালের মতো ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন দেশের এই উত্তরের জেলা। কুয়াশার সাথে শিশির ও হিম বাতাসে ঝরছে শীতের পারদ। শহর ও গ্রামীণ সড়কগুলোতে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। শীতের তীব্রতায় জর্জরিত শিশু ও বৃদ্ধরা। লাগাতার শীতের কারণে দূর্ভোগ বেড়েছে খেটে খাওয়া মানুষদের। কাজকর্ম কমে যাওয়ায় দিন কাটছে অভাব-অনটনের ভেতর। প্রয়াজনের বাইরে শহরের অভিজাত মানুষজন ঘর থেকে বের না হলেও জীবিকার তাগিদে নিম্ন আয়ের মানুষের শীত উপেক্ষা করেই কাজে যেতে হচ্ছে।

১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুদিন পাঠদান ও মাধ্যমিকে ৩ দিন পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলার শিক্ষা কার্যালয়। তবে প্রাইভেট, কোচিং ও শিশু শ্রেণির মাদরাসাগুলোতে শিক্ষার্থীদের যেতে দেখা গেছে।

এদিকে শীতের কারণে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগ। এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন লোকজন। কামাই-রোজগার কমে যাওয়ায় অনেকে শীতজনিত রোগ বেড়ে যাওয়ায় টাকার অভাবে ঔষুধপত্র কিনতে পারছেন না অনেকে।

চিকিৎকরা জানান, শীতে হাসপাতালে শীতজনিত রোগ নিয়ে প্রচুর রোগী আসছে। বিশেষ করে সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হচ্ছে অনেক শিশু। শীত বাড়লে এই রোগ আরো বাড়বে। শিশুদের গরম কাপড় পরিয়ে রাখতে হবে। সাধারণ সর্দি-কাশিতে যত্ন না হলে জটিলতা বাড়তে পারে। শীতে শিশুদের সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টের প্রকোপ বাড়ে। একই সঙ্গে চর্মরোগ ও ডায়রিয়ার মতো রোগও বাড়ছে। শিশুদের ঠান্ডা থেকে দূরে রাখতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিহিস্টামিন ও অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানো যাবে না। শ্বাসকষ্ট হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হবে।



© দিন পরিবর্তন