logo

পঞ্চগড় : শহীদ মিনারে প্রথম পুস্পস্তবক অর্পণ

নিজস্ব প্রতিনিধি

Published:22 Feb 2024, 04:15 PM

পঞ্চগড় : শহীদ মিনারে প্রথম পুস্পস্তবক অর্পণ


পঞ্চগড় :
পঞ্চগড়ে ব্যরিস্টার মুহম্মদ জমিরউদ্দিন সরকার কলেজিয়েট ইন্সটিটিউট নির্মিত হয়েছিল ১৯৯০ সালে। কিন্তু কলেজ প্রতিষ্ঠার ৩৩ আগে ছিলো না কোন শহীদ মিনার। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে ৩৩ বছর পর শহীদ মিনার গড়ে উঠার পর এবার প্রথমবারের মতো ভাষা দিবসে পুস্পস্তবক অর্পন করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী।

জানা যায়, ১৯৯০ সালে ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার তার দানকৃত জমিতে তার নামানুসারে কলেজিয়েট ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছে দুটি শাখা। এর একটি কলেজ শাখা ও আরেকটি স্কুল শাখা। কলেজ শাখায় রয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক ডিগ্রি অপরটি স্কুল শাখায় ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত মোট শিক্ষার্থী অধ্যয়নে রয়েছে ১ হাজার ২০০ শিক্ষার্থী। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠার ৩৩ বছর পেরিয়ে গেলেও বিভিন্ন কারণে নির্মাণ হচ্ছিল না শহীদ মিনার।

কয়েক বছর পূর্বে শহীদ মিনার স্থাপনের নিমিত্তে জায়গা নির্ধারণ নিয়ে দলাদলি ও মতবিরোধ দেখা দেয়। শহীদ মিনার স্থাপন করতে কারো আপত্তি ছিল না। ছিল শুধু স্থান নিয়ে। এই বিরোধিতার সুযোগ নিয়ে তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রাস্ট্রদ্রোহিতার মামলা করেন কলেজ ও স্কুল শাখার কয়েকজন শিক্ষককের বিরদ্ধে। যা শেষ পর্যন্ত মহামান্য হাইকোর্ট পর্যন্ত মামলা গড়ায়।

চলতি বছর দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে পঞ্চগড়-১ আসনে নাঈমুজ্জামান মুক্তা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকরা শুভেচ্ছা জানাতে তার কাজীপাড়াস্থ বাসভবনে যান। এমপি নাঈমুজ্জামান মুক্তা তাদের কাছে জানতে পারেন কলেজটিতে বিভিন্ন কারণে গড়ে উঠেনি কোন শহীদ মিনার। বিষয়টি জানার পর বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ২৫ জানুয়ারি কলেজটিতে গিয়ে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে শহীদ মিনার স্থাপন করে এবার ভাষা দিবসে শহীদদের শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে পুস্পস্তবক করতে চাই। কথা অনুযায়ী গড়ে উঠে শহীদ মিনার। সে শহীদ মিনারের বুধবার প্রভাতফেরিতে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় দুটি কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা শহীদ মিনারে গিয়ে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানান। এ সময় কলেজ শাখার অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) আহসান হাবীব, স্কুল শাখার প্রধান শিক্ষক তাহেরুল ইসলামসহ শিক্ষকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দীপেন চন্দ্র বর্মন, দীনেশ চন্দ্র বর্মন, অলিয়ার রহমান কায়েদ ই আজম, আনছারুল ইসলাম, মুশফিকুর রহমান, প্রবীর কুমার সরকার, আজহারুল ইসলাম জুয়েল প্রমূখ।

দীর্ঘ ৩৩ বছর পর প্রথম বারের মতো প্রতিষ্ঠানটিতে নির্মিত শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে আনন্দ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। এ সময় তারা পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য নাইমুজ্জামান ভুঁইয়া মুক্তাকে ধন্যবাদ জানান ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির স্কুল শাখার ইংরেজি শিক্ষক আজহারুল ইসলাম জুয়েল বলেন, এবারই আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠানে নির্মাধীন শহীদ মিনারে পুস্পার্ঘ্য অর্পন করে ভাষা দিবস পালন করলাম। এর আগে শহীদ মিনার ছিল না।

পঞ্চগড় ব্যারিস্টার মুহম্মদ জমিরউদ্দিন সরকার কলেজিয়েট ইন্সটিটিউটের কলেজ শাখার অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) আহসান হাবীব বলেন, আমরা প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠার ৩৩ বছর পর প্রথমবারের মতো নবনির্মিত শহীদ মিনারে ভাষা দিবস উদযাপন করলাম। দীর্ঘ এ সময়ে বিভিন্ন কারণে শহীদ নির্মাণ হচ্ছিল না। এ নিয়ে মামলাও হয়েছিল। এবার এমপি মহোদয়ের সহযোগিতায় শহীদ মিনারটি নির্মিত হচ্ছে। প্রথমবারের মতো বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আমাদের সাথে ভাষা দিবসে এ শহীদ মিনারে পুস্পার্ঘ্য অর্পন করেছে। এজন্য এমপি মহোদয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। #

 



© দিন পরিবর্তন