নিজস্ব প্রতিবেদক
Published:05 Aug 2022, 06:50 PM
পদ্মার পানি বৃদ্ধি, হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নিচে তীব্র ভাঙন
পানি বেড়েছে পাকশীর পদ্মায়। কয়েকদিনের ব্যবধানে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে পানি। প্রতিদিনই পদ্মায় গড়ে ২৫ থেকে ৪০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত পানি বাড়ছে। একই সঙ্গে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নিচে পদ্মার চরে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন অব্যাহত থাকলে নদী রক্ষা বাঁধ হুমকির মুখে পড়তে পারে। সেই সঙ্গে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ও লালন সেতুরও ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, গত ৩০ বছরের মধ্যে এমন ভাঙন এখানে দেখা যায়নি।
শুক্রবার খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এলাকায় পদ্মার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্রিজের নিচে ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে।
চলতি বছরের শুরুতে ৪নং পিলারের কাছে চর ছিল এখন চর ভাঙতে ভাঙতে তা ২নং পিলারের কাছে চলে এসেছে বলে জানান পদ্মাপাড়ের দোকানী। দূর-দূরান্ত থেকে পর্যটক ও ভ্রমণপিপাসুরা ব্রিজের নিচে চরের মধ্যে ঘোরাফেরা করতে আসেন। অস্থায়ী দোকানপাটে তারা কেনাকাটা ও খাওয়া-দাওয়া করেন। এভাবে নদীর তীর ভাঙতে থাকলে এখানে আর মানুষজন আসবে না। আমাদের ব্যবসাও থাকবে না বলে শঙ্কায় রয়েছেন দোকানীরা।
ক্ষতির শঙ্কা করছেন স্থানীয় কৃষকরাও। হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ও লালন শাহ সেতুর মাঝে আখ ও কলাসহ বিভিন্ন সবজির আবাদ করেছেন রূপপুর কৃষকরা। তারা জানান, দ্রুত গতিতে ভাঙছে পদ্মার চর। হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নিচে প্রায় তিন দশক ধরে আবাদ করছি। এমন তীব্র ভাঙন কখনো দেখিনি। এরই মধ্যে কলার বাগানসহ বেশকিছু জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের তীব্রতা দেখে মনে হচ্ছে ব্রিজের আশপাশের চর ভেঙে নদীতে বিলিন হয়েছে।
পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানি উন্নয়ন বোর্ডের গ্রেজ রিডার হারিফুন নাঈম ইবনে সালাম বলেন, গত ১০ দিনের ব্যবধানে পদ্মায় পানি বেড়েছে দুই মিটারের বেশি। ২৫ জুলাই পানির পরিমাণ ছিল ৯ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার। আর বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় পানির পরিমাণ ছিল ১১ দশমিক ৮৮ সেন্টিমিটার।
পাকশী রেলওয়ে বিভাগের সেতু প্রকৌশলী নাজিব কাওছার বলেন, হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নিচে পিলারের আশপাশের স্থান নদীতে ভেঙে গেলেও ব্রিজের কোনো ক্ষতি হবে না। কারণ ব্রিজের পিলার নদীর গভীরে পাইলিং করে স্থাপন করা হয়েছে।
পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সরোয়ার জাহান সুজন বলেন, হার্ডিঞ্জ ব্রিজের আশপাশের এলাকাসহ সাঁড়ায় ভাঙন রোধে গত বছর জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হয়েছে। এবার পানি বৃদ্ধির বিষয়টি জেনেছি। পানি কমতে শুরু করলে জিও ব্যাগ ডাম্পিংসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
© দিন পরিবর্তন