logo

পরিবহন সংকটে ঝুঁকিপূর্ণ ঈদ যাত্রা

নিজস্ব প্রতিবেদক

Published:08 Jul 2022, 05:48 PM

পরিবহন সংকটে ঝুঁকিপূর্ণ ঈদ যাত্রা


সিদ্ধিরগঞ্জে শেষ মুহুর্তে ঈদে বাড়ী ফেরা যাত্রীরা গণপরিবহন সংকট ভোগান্তিতে পরেছেন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও পায়নি টিকিট ও বাস। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যানে গ্রামের বাড়ী যেতে হচ্ছে যাত্রীদের। অনেকই উঠেছেন বাসের ছাদে। গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকেই সাইনবোর্ড ও শিমরাইল মোড়ে বিভিন্ন বাস কাউন্টারে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় জমে। বিকেল পর্যন্ত অবস্তার পরিবর্তন হয়নি। তবে মাঝে মাঝে যানজট সৃষ্টি হলেও তা বেশিসময় থাকেনি।

সাইনবোর্ড ও শিমরাইল মোড়ে বিভিন্ন গণপরিবহনের প্রায় দেড় শতাধিক টিকিট কাউন্টার রয়েছে। গত কয়েকদিনের তুলনায় শুক্রবার যাত্রীদের চাপ বেড়ে যাওয়া কাউন্টারে কিটিট পায়নি যাত্রীরা। কিছু কাউন্টারে কিকিট পেলেও ভাড়া গুনতে হচ্ছে দ্বিগুন। সিট না থাকায় দূরপাল্লার বাসে কহু যাত্রীকে দাঁড়িয়ে যেতে দেখা গেছে। যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় শিমরাইল মোড়ে সাময়িক যানজট সৃষ্টি হতে দেখা গেছে।

একাধিক যাত্রীর অভিযোগ, শিমরাইল মোড় থেকে সিলেটের বাস বাড়া নন-এসিতে ৫৭০ টাকার পরিবর্তে ৭০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। কুমিল্লার ভাড়া ২৫০ টাকার পরিবর্তে ৪০০ টাকা, চট্টগ্রামের ভাড়া ৫৫০ টাকার পরিবর্তে ৮০০ টাকা, কক্সবাজারের ভাড়া ১১০০ টাকার পরিবর্তে ১৫০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।

আদমজী ইপিজেডের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন ফেনি জেলার বিউটি আক্তার। তিনি বলেন, ঈদ ছাড়া লম্বা ছুটি পাইনা। তাই গ্রামের বাড়ী যাইতে পারিনা। পরিবারের সাথে ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছি। দুই ঘন্টা ধরে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে আছি। এখনো কোন গাড়ি পাই নাই। কাউন্টার থেকে বলেছে দুপুরের পর ছাড়া টিকিট হবে না। দাঁড়িয়ে যেতে পারলে টিকিট দিতে পারবে। গরম ও ভিরে এত দূর দাঁড়িয়ে যেতে পারব না। তাই অপেক্ষা করছি।

দুপুর একটার দিকে শিমরাইল মোড় কানখায়ে জামে মসজিদের সিঁড়ির পাশে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে বসে থাকা শফিকুল ইসলাম বলেন, সকাল দশটা থেকে অপেক্ষা করছি কুমিল্লার বাস পাচ্ছি না। যে বাসই আসে তিলধারণের ঠাঁই নাই। যাত্রীর চাপ কমলে বিকেলে টিকিট পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে কাউন্টার থেকে। তাই বসে আছি।

অপর দিকে বাস না পেয়ে বহু যাত্রী ট্রাক, কাভার্ডভ্যানে করে যাচ্ছে। অপেক্ষায় বিরক্ত হয়ে অনেক নারীরাও যাচ্ছে ট্রাকে। এসব যাত্রীদের সিংহ ভাগই গার্মেন্টস শ্রমিক। অনেক কিশোর ও যুবকরা উঠে বাসের ছাদে। কেউ যাচ্ছে এক কাউন্টার থেকে আরেক কাউন্টারে। তবু মিলছেনা টিকিট ও বাস।

যাতায়াত পরিবহনের কাউন্টার পরিচালক আবুল বলেন, বৃহস্পতিবার রাত আটটা পর্যন্ত যাত্রী সংখ্য স্বাভাবিক ছিল। শক্রবার ভোর থেকেই যাত্রী সংখ্যা যাত্রারিক্ত বেড়ে গেছে। গাড়ির তুলানায় যাত্রী অনেক বেশি। তাই টিকিট দেওয়া যাচ্ছে না। অনেকই দাঁড়িয়ে যাওয়ার অনুরোধ করে টিকিট নিচ্ছে। তবে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার কথা তিনি অস্বীকার করেন।

সাইনবোর্ড ও শিমরাইল ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা হাইওয়ে পুলিশের টিআই (প্রশাসন) একে,এম শরফুদ্দিন বলেন, শুক্রবার ভোর থেকেই যানবাহন ও যাত্রীর চাপ বেড়ে গেছে। যাত্রী উঠা-নামার কারণে স্বল্প সময়ের জন্য গাড়ির জটলা দেখা দিচ্ছে। মানুষের ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে হাইওয়ে পুলিশ অক্লান্ত পরিশ্রম করছে। মহাসড়[কে কিছুতেই যেন যানজট সৃষ্টি না হয় সেদিকে কঠোর নজর রয়েছে। আশা করি যাত্রীরা যানজট দুর্ভোগে পরবে না।



© দিন পরিবর্তন