logo

পরিবেশ রক্ষায় মাঠে নামছে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

Published:26 Jan 2024, 07:42 PM

পরিবেশ রক্ষায় মাঠে নামছে সরকার


দীর্ঘদিন পরিবেশ অ্যাক্টিভিস্টরা বলছেন, দেশ বাঁচাতে সবার আগে পরিবেশ বাঁচাতে হবে। এনিয়ে নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও সমন্বয়হীনতার অভিযোগ করছিলেন তারা। এবারের মন্ত্রিসভা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখায় পরিবেশবাদীদের মধ্যে স্বস্তির ভাব লক্ষ্য করা গেছে। তারা বলছেন, পরিবেশ নিয়ে ভাবলে মানুষ বাঁচবে। এবার মন্ত্রিসভা গঠনের পর থেকেই পরিবেশ নিয়ে কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপের কথা জানা যাচ্ছে গণমাধ্যমে।


এরই মধ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৬ সালের মধ্যে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যবহার ৯০% কমানো হবে। ‘সুস্থ পরিবেশ, স্মার্ট বাংলাদেশ’ স্লোগান নিয়ে, মন্ত্রণালয় ১০০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করার সময় এই তথ্য জানানো হয়েছে। ২৫ জানুয়ারি সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়কমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।

ওই সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ১০০ দিনের কর্মসূচির মধ্যে বায়ুদূষণ, প্লাস্টিক দূষণ, পাহাড় কাটা ও জলাধার ভরাট রোধসহ অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করতে চায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়। এর মাধ্যমে বর্তমান সরকারের পাঁচ বছরের কর্মকাণ্ডের একটি শক্তিশালী সূচনাসহ পুরো মেয়াদে কাজ করার একটি কাঠামো তৈরি করা যাবে। প্রতিদিন যেসব প্লাস্টিক ব্যবহার হয় সেগুলোর মধ্যে পরিবেশের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বা সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক। ব্যবহৃত প্লাস্টিক পণ্যের বেশির ভাগই সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক। এসব সাধারণত মাত্র একবার ব্যবহার করে ফেলে দেওয়া হয়। এই সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক আমাদের প্রতিদিনকার জীবন থেকে শুরু করে দেশের পরিবেশ ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই চ্যালেঞ্জ স্বীকার করে জবাবদিহিতার জায়গা নিশ্চিত করতে ১০০ দিনের এই কর্মসূচির কথা বলেন সাবের হোসেন চৌধুরী। পরে তিনি প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা, জনবল ও প্রশিক্ষণ কাঠামো ঠিক করতে চান। দূষণ নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় আর বিআরটিএ-র সঙ্গে সমন্বয় করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যেসব বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গবেষক কাজ করছেন তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করা হবে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে ইটভাটা ম্যাপিং এবং দূষণ বের করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ড্রোনের মাধ্যমে নদী দূষণ বের করার কথাও বলেছেন মন্ত্রী।

সার্বিকভাবে বন, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়ে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, পরিবেশ বিপর্যয়কে মন্ত্রণালয়ের জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ। এখন বায়ু দূষণের প্রথমদিকে থাকে ঢাকা। তার সঙ্গে পানি, প্লাস্টিক ও শব্দ দূষণও মিলিয়ে পরিস্থিতি সত্যিই উদ্বেগজনক।

সংবাদ সম্মেলনে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেলিন চৌধুরী বলেন, আমাদের পরিবেশ দূষণের মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। এখন গঠনমূলক কর্মপরিকল্পনা দরকার। সেদিক থেকে যে উদ্যোগগুলো নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে সেসবের গুরুত্ব আছে। সিঙ্গেল ইউজড প্লাস্টিক প্রাণঘাতি। আমরা দীর্ঘদিন থেকে এটা নিয়ে কথা বলছি। কখনও তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে। এখন যদি শুরু হয় বাস্তবায়ন তাহলে অবশ্যই আগামীতে ভালো কিছু হবে।



© দিন পরিবর্তন