logo

পাইকগাছায় ২ মাসেও আদালতে অগ্নিসংযোগ ঘটনার রহস্য উন্মোচিত হয়নি

নিজস্ব প্রতিনিধি

Published:15 Feb 2024, 03:08 PM

পাইকগাছায় ২ মাসেও আদালতে অগ্নিসংযোগ ঘটনার রহস্য উন্মোচিত হয়নি


পাইকগাছা (খুলনা):
পাইকগাছায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এজলাসে দাহ্য জাতীয় পদার্থ দ্বারা অগ্নিকান্ড ঘটার দুই মাস অতিবাহিত হলেও অদ্যবদি ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন হয়নি।

তাছাড়া আদালতের এজলাস কক্ষ ও সংষ্কার হয়নি। জানা যায়,বিগত ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার শেষ রাতে কে বা কারা পাইকগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এজলাসের বাহিরের জানালার ভাঙ্গা গ্লাসের ফাঁক দিয়ে পেট্রোল বোমা জাতীয় দাহ্য পদার্থ দ্বারা অগ্নিসংযোগ ঘটায়। এতে এজলাস কক্ষের ভিতরে থাকা সোফা ও আসামীর কাঠগড়া পুড়তে থাকে।ঐ অবস্থায় পথচারী ও কোর্ট পুলিশ পোড়া গন্ধ এবং ধোয়া দেখে বিষয় টি জানতে পারেন।পরে কোর্ট স্টার্ফদের ডেকে এজলাস কক্ষের দরজা খুলে পানি নিক্ষেপ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

পরে তাৎক্ষনিক খবর পেয়ে আদালতের বিচারক মো: আনোয়ারুল ইসলাম , উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আল-আমিন, সহকারী পুলিশ সুপার(ডি-সার্কেল) মোঃ সাইফুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার ভুমি মো: আরিফুজ্জামান ও পাইকগাছা থানার ওসি মোঃ ওবাইদুর রহমান উপস্থিত হন। পরবর্তীতে ঘটনার বিষয়টি বিভিন্ন ইলেকট্রিক মিডিয়া ও সোস্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচার হয়।এরপর মহামন্য হাইকোর্টের রেজিষ্টার,খুলনা জেলা জজ,জেলা প্রশাসক,চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট,খুলনা জেলা পুলিশ সুপার সহ প্রশাসনের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্হা ঘটনাস্থান পরিদর্শন করেন।

ঐ ঘটনায় আদালতের স্টেনো টাইপিষ্ট কাম কম্পিউটার অপারেটর মোল্লা গোলাম ছরোয়ার বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেন, যার নং- ৭(১২)/২৩।ঐ মামলায় সন্দেহ জনক ভাবে দুই জনকে আটক হয়। বর্তমানে তারা জেল হাজতে আছে। তবে আজও মূল রহস্য উদঘাটন হয়নি। আদালতের জ্যেষ্ঠ আইনজীবি জি,এ সবুর দুঃখ করে বলেন, দীর্ঘ দিনেও যেমনি ঘটনার রহস্য হয়নি তেমনি ক্ষতিগ্রস্হ এজলাসের কক্ষটি ও সংষ্কার করা হয়নি।

অন্যদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওবাইদুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি জানান,মামলায় জড়িত সন্দেহ জনক ২জনকে গ্রেফতার করেছি। তাদের জিজ্ঞাবাদে গুরুত্বপূর্ন তথ্য পাওয়া গেছে। সেমতে তদন্ত চলছে।



© দিন পরিবর্তন