logo

পাহাড়ের চূড়ায় আবারো কেএনএ’র নাশকতার ছঁক

নিজস্ব প্রতিবেদক

Published:11 Jan 2024, 03:49 PM

পাহাড়ের চূড়ায় আবারো কেএনএ’র নাশকতার ছঁক


মো.আবুল বাশার নয়ন, বান্দরবান

পাহাড়ে সংসদ নির্বাচনকালীন সময় সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য আইন শৃংখলা বাহিনীর ব্যস্ততার ফাঁকে বড় ধরনের নাশকতার ছঁক একেছিল কুকি চীন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ)। কিন্তু বড়ধরনের নাশকতার আগেই সেই ষড়যন্ত্রের ছঁক ভেঙ্গে দিয়েছে নিরাপত্তাবাহিনী। বৃহস্পতিবার সকালে একটি দুটি নয়, পাহাড়ের চ‚ড়ায় একই স্থানে ৭টি বাঙ্কার ধ্বংস করা ছাড়াও দেশীয় গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে ওই স্থানটিতে। এদিকে যেকোন ধরনের নাশকতা ঠেকাতে রুমা-রোয়াংছড়ি সড়কে নিরাপত্তা আরো জোরদার করেছে আইন শৃংখলাবাহিনী।

বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলা সদর থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে বালুপাহাড়। দুই পাহাড়ের মধ্যদিয়ে পাহাড়ী ঢালু উঠার সময় রাস্তা ঘেষে পাহাড়ের চ‚ড়ায় প্রায় একশ গজের মধ্যে খনন করা হয়েছে একাধিক বাঙ্কার। যেখান থেকে আইন শৃংখলাবাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলা করা সহজ বলে মনে করিছিল সন্ত্রাসীরা। কিন্তু সেই পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে। বম সম্প্রদায় অধ্যুষিত এলাকাটি গত দুই বছর ধরে পাহাড়ের আলোচিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কুকি চীন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) নিয়ন্ত্রিত। শান্তি আলোচনা চলাচালীন গোপনে কেএনএ কি কারনে এমন তৎপরতা চালিয়েছে তা ষ্পষ্ট করতে পারেনি আইন শৃংখলা বাহিনী। এমন তৎপরতায় খোদ হতাশা প্রকাশ করেছেন বম সম্প্রদায়সহ শান্তি কমিটির সদস্যরা।

এই প্রসঙ্গে বম সম্প্রদায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির নেতা পাকসীম বে তুং, বৈথাং বম, লাল থাং সহ স্থানীয়রা জানান, আলোচনা চলাকালীন এমন ঘটনা দুখজনক। তবে বিষয়টি আগামী শান্তি আলোচনা বৈঠকে অবশ্যয় উত্তাপন করা হবে। বৃহস্পতিবার সকালে সরেজিমনে স্থানীয়রা জানান, গত কিছুদিন ধরে রোয়াংছড়ি-রুমা সড়কে গাড়ি থামিয়ে একাধিক মানুষ থেকে চাঁদা আদায় করেছে কেএনএফ। গত ৮জানুয়ারী সাতকানিয়া উপজেলার মো: ফারুখ, মো: শাহ আলমসহ দুই ব্যাক্তি মোটরসাইকেল যোগে রোয়াংছড়ি হয়ে রুমা যাওয়ার পথে সোয়ানলুপাড়া, বালুপাহাড় এলাকায় মুখোষধারী একদল লোক তাদের কাছ থেকে ২হাজার টাকা চাঁদা নেয় সন্ত্রাসীরা। পরে এই ঘটনায় রোয়াংছড়ি থানায় অভিযোগ করা হয়। এই প্রসঙ্গে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পারভেজ আলী জানান, দুই মোটরসাইকেল আরোহীর কাছ থেকে ২হাজার টাকা চাঁদা নেওয়ার বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর এর পেছনে সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

উল্লেখ, ২০২২ সালের এপ্রিলে আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ করে ফেসবুকে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি, বরকল, জুরাছড়ি ও বিলাইছড়ি এবং বান্দরবানের রোয়োংছড়ি, রুমা, থানচি, লামা ও আলীকদম উপজেলাগুলোর সমন্বয়ে পৃথক রাজ্যের দাবি তোলেছিল। পরে অস্ত্রধারীদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে উদ্যোগ নেয় পার্বত্য জেলা পরিষদ। এরই প্রেক্ষিতে কেএনএর সঙ্গে শান্তি কমিটির একাধিক অনলাইন ও সরাসরি বৈঠক হয়। এখনো চলমান রয়েছে আলোচনা। এমন সময় আবারো কেএনএ এর চাঁদাবাজি এবং সন্ত্রাসী তৎপরতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।



© দিন পরিবর্তন