logo

প্রস্তুত রাঙামাটি পর্যটন কেন্দ্র, কোটি টাকার রাজস্ব আয়ের টার্গেট

নিজস্ব প্রতিবেদক

Published:07 Apr 2024, 03:42 PM

প্রস্তুত রাঙামাটি পর্যটন কেন্দ্র, কোটি টাকার রাজস্ব আয়ের টার্গেট


নানা আয়োজনে ঢেলে সাজানো হয়েছে রাঙামাটির পর্যটন কেন্দ্রগুলো। আধুনিকতা আর নতুনত্বে ছোঁয়ায় পরির্বতন করা হয়েছে হোটেল-মোটেল। প্রকৃতির সাথে মিল রেখে রঙ তুলির আঁচরে কক্ষগুলোকেও রাঙানো হয়েছে। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে সব প্রস্তুতি। এবার অপেক্ষা পর্যটক আগমনের।

আগামী ১৩ এপ্রিল থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত টানা বুকিং রয়েছে রাঙামাটির পর্যটন কমপ্লেক্সের হোটেল-মোটেলগুলো। এরইমধ্যে ৮০ ভাগ বুকিং হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক অলোক বিকাশ চাকমা।

তিনি বলেন, বুকিং এখনো চলমান। ২০ ভাগ রুম বিশেষ অতিথিদের জন্য রয়েছে। সেগুলোও বুকিং হয়ে যাচ্ছে। ১৩ থেকে ১৬ তারিখ পর্যন্ত রাঙামাটির হোটেল-মোটেল খালি পাওয়া মুশকিল হবে। কারণ এবার উৎসবের আনন্দ দ্বিগুণ। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের বৈসাবি আর মুসলিমদের ঈদুল ফিতর। উৎসবের সাথে যুক্ত হয়েছে ঈদের লম্বা ছুটি। তাই এবার টার্গেট কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের। পরিবেশ পরিস্থিতি ভাল থাকলে টার্গেট পূরণ হবে আশা করি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পর্যটন নগরী রাঙামাটিতে পর্যটকদের আনন্দ ও মনোরঞ্জন জোগানোর অসংখ্য নৈসর্গিক কেন্দ্র রয়েছে। সরকারি পর্যটন মোটেল ছাড়াও ডিসি বাংলো যাদুঘর, পেদাটিংটিং, সুবলং ঝর্ণা ও টুকটুক ইকো ভিলেজ, হাইজ বোটে ভাসমান রেস্টুরেন্ট, রাঙামাটি পার্ক, সুখী নীল গঞ্জ, স্বচ্ছ কাপ্তাই হ্রদের জলে রোমাঞ্চকর নৌ-ভ্রমন, পেদাটিংটিং। ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও প্রাচীন নিদর্শন। নানিয়ারচরের বুড়িঘাটে রয়েছে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফের স্মৃতিসৌধ, কাপ্তাই আসামবস্তি সড়ক, কাপ্তাই নেভিক্যাম্প, পোর্ট হাউজ, ফুরামন পাহাড়সহ মনোরম ও নয়নাভিরাম দৃশ্য। যার টানে এবার ঈদে হাজারও পর্যটক রাঙামাটিতে ছুটে আসবেন বলে মনে করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

অন্যদিকে, রাঙামাটিতে শুরু হয়েছে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীদের প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবি। বৈসাবি উপলক্ষে পাহাড়ের ১০ ভাষাভাষি ১২টি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীদের কৃষ্ঠি ও সংষ্কৃতির মেলা। মেলা ঘিরে তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান এখন সাজ সাজ রব। ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীদের এ উৎসব ঘিরে এরইমধ্যে পাহাড়ে এসেছে দেশি-বিদেশি পর্যটক। রাঙামাটির নৈসর্গিক আবেশ আর দর্শনীয় স্থানগুলো এতোটাই আকর্ষণীয় যা পর্যটকদের নজর কাড়ে সহজেই। তাই যান্ত্রিক জীবনের ক্লান্তি দূর করতে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে ছুটে আসে এ পাহাড়ি জনপথে।

এদিকে, ঈদুল ফিতর আর বৈসাবিকে কেন্দ্র করে পর্যটকদের বাড়তি নিরাপত্তা দিতে এরই মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে প্রশাসন।

রাঙামাটি জেলা পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে ট্যুরিস্ট পুলিশ নিয়োজিত রয়েছে। স্পর্শকাতর পর্যটক কেন্দ্রগুলোতেও বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে যাতে পর্যটকরা নিরাপদে ঈদের ছুটি উপভোগ করতে পারে।



© দিন পরিবর্তন