logo

বগুড়ায় শিল্পপতি দেলওয়ারা খুনের মামলা ঠেকাতে চায় অভিযুক্তরা

নিজস্ব প্রতিনিধি

Published:03 Mar 2024, 03:53 PM

বগুড়ায় শিল্পপতি দেলওয়ারা খুনের মামলা ঠেকাতে চায় অভিযুক্তরা


বগুড়া ব্যুরো :
বগুড়ার নারী শিল্পপতি দেলওয়ারা বেগমের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে এমন রিপোর্ট নেওয়ার জন্য অভিযুক্তরা ফরেনসিক বিভাগে ধরনা দিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন মামলার বাদী আকিলা সরিফা সুলতানা খানম। তিনি অভিযোগ করেন, তার মাকে হত্যা করা হয়েছে। মামলা থেকে বাঁচতে যে কোনো মূল্যে তার মায়ের স্বাভাবিক মৃত্যুর সনদ চায় আসামিরা। অভিযুক্তরা যদি শিল্পপতি দেলওয়ারা বেগমের হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতই না থাকে তাহলে স্বাভাবিক মৃত্যুর সনদের জন্য কেন তাদের অপতৎপরতা। গত বছরের ৩মে দেলওয়ারা বেগমের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। তার মেয়ে আকিলা সরিফা সুলতানা খানম, আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের লাশ না দেখিয়েই তড়িঘড়ি করে দাফন করার অভিযোগ ওঠে।

দাফনের ১০ মাস পর আদালতের নির্দেশে গত বুধবার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল মাহমুদের উপস্থিতিতে বগুড়া শহরের নামাজগড় কবরস্থান থেকে নারী শিল্পপতি দেলওয়ারা বেগমের লাশ উত্তোলন করা হয়। বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে তার লাশ ফের ওই কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই বগুড়ার এসআই জাকারিয়া জানান, ময়না তদন্তের রিপোর্ট এলে আদালতে দাখিল করা হবে।
গত বছর ২০২৩ সালের ৮ জুলাই দেলওয়ারা বেগমের মেয়ে আকিলা সরিফা সুলতানা খানম বাদি হয়ে বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১০ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। নারী শিল্পপতি দেলওয়ারা বেগম বগুড়া শহরের কাটনারপাড়ার মৃত সেখ সরিফ উদ্দিনের স্ত্রী।

মামলার আর্জিতে বাদী উল্লেখ করেন, সস্পত্তি আত্মসাৎ করতে দেলওয়ারা বেগমকে জিম্মি করে মামলার ১ নম্বর আসামি নাদিরা সুলতানা তার বাসায় আটকে রাখে। বগুড়া শহরের কাটনারপাড়ায় এনায়েত আলী খান লেন এলাকায় বসতবাড়িতে অপর মেয়ে ও জামাইদের সহযোগিতায় আসামিরা দেলওয়ারা বেগমের কাছ থেকে তার জমি-জমা ও সম্পদ লিখে নিতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন এবং জানান, তার মেয়ে আকিলা সরিফা সুলতানা খানমের সাথে সাক্ষাত করবেন। এতে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং গত ৩ মে দিবাগত রাতে দেলওয়ারা বেগমকে শ্বাসরোধ অথবা বিষক্রিয়ার মাধ্যমে হত্যার পর পরদিন গোপনে তড়িঘড়ি করে লাশ দাফন করা হয়। হত্যা মামলায় দেলওয়ারা বেগমের চার মেয়ে, জামাই ও নাতিকে আসামি করা হয়।

মামলাটি তদন্ত করার জন্য পিবিআই বগুড়াকে নির্দেশ দেন আদালত। মামলার বাদী অভিযাগ করেন, মামলা তদন্তের স্বার্থে লাশ উত্তোলনের প্রয়োজন হলে তা ঠেকাতে তৎপরতা শুরু করে আসামি পক্ষ ও তাদের সহযোগীরা। মামলার বাদী আকিলা সরিফা সুলতানা বলেন, আমার মায়ের সম্পদ লুন্ঠনকারীরা খুনের অভিযোগ থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য নানা ধরনের অপকৌশল করছে। ফরেনসিক বিভাগে যারা তদবির করছে, তাদেরকে আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই অনেক সত্য তথ্য বেরিয়ে আসবে।



© দিন পরিবর্তন