নিজস্ব প্রতিনিধি
Published:10 Mar 2021, 03:52 PM
বরিশালে বার্গারের মধ্যে আস্ত ব্লেড
নাস্তা খেতে গিয়ে বার্গারের মধ্যে আস্ত ব্লেড পেয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। তবে এসময় তার হাত ও মুখের কোনো অংশ ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও এখন পর্যন্ত তিনি কিছুটা মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। ফলে খাওয়া-দাওয়ায় অনীহা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, বরিশাল নগরের একটি অফিসে পার্টটাইম জব করেন তিনি। সেখানে সোমবার সন্ধ্যার দিকে বিবির পুকুর পাড়ের ফুটপাতের একটি দোকান থেকে সবজি মিশ্রিত (ভেজিটেবল) বার্গার নাশতা হিসেবে কিনে আনা হয়। বার্গারে কামড় দিলে কিছু একটা তার দাঁতে লাগে। সেটি বের করে তিনি দেখতে পান একটি আস্ত জং ধরা ব্লেড।
তিনি বলেন, অল্পের জন্য জিহ্বা কিংবা মুখের ভেতরের কোনো অংশ কাটেনি। আবার গলার ভেতরে গেলে কি হতো তাও আমি কল্পনা করতে পারছি না। এ ঘটনার পর থেকে কিছুটা মানসিক ট্রমাতে আছি, এখনো কিছু ক্ষেতে পারছি না। তিনি আরো বলেন, ব্লেডটি পাওয়ার পর সরাসরি ওইভাবে বার্গারটি নিয়ে বিবির পুকুর পাড়ের সেই ফুটপাতের দোকানি মনির হোসেনের কাছে গিয়ে বিষয়টি জানালে তিনি এ জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ভুলবশত হয়েছে বলে জানান।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ও সিটি করপোরেশনের সঠিক মনিটরিং না থাকায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি করে প্রকাশ্যে বিক্রি করছেন এক শ্রেণির ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। এদের জন্য সবাইকে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। ঘটনাটি ভুলবশত হয়েছে জানিয়ে বার্গার বিক্রেতা মনির হোসেন বলেন, কোনো বিক্রেতাই তার দোকানের ক্রেতাকে খারাপ কিছু খাওয়াতে চান না। কিভাবে ওই ব্লেডটি বার্গারের মধ্যে গিয়েছে সেটি আমিও বুঝে উঠতে পারছি না।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক শাহ সোয়াইব মিয়া বলেন, আমরা প্রায় বিবির পুকুর পাড়ের খাবার বিক্রেতাদের সতর্ক করে থাকি। ভোক্তাদের অভিযোগ ছাড়াই অভিযান চালাই। আমাদের মনিটরিং চলছে।
ফুটপাতের খাবারের মান রক্ষায় বরিশাল সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে কোনো অভিযান চালানো হয় কিনা জানতে চাইলে সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মতিন রহমান বলেন, সিটি করপোরেশনের ভেটেরিনারি কর্মকর্তা রবিউল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
রবিউল ইসলাম বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি সড়কের পাশে দিনদিন খাবারের দোকান বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে শিক্ষিতরা যেমন দোকান খুলছেন তেমনি নিম্নবিত্তরাও। করোনার কারণে খাদ্যমান অক্ষুণ্ন রাখার জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান বন্ধ ছিল। এখনো অভিযান শুরু হয়নি। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠলে অভিযান শুরু হবে।
© দিন পরিবর্তন