নিজস্ব প্রতিবেদক
Published:10 Sep 2022, 06:51 PM
বহুমাত্রিক অভিনেতা
ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা ফারুক আহমেদ। বহুমাত্রিক চরিত্রে এই তারকাকে দেখা যায়। প্রায় চার দশকের বর্ণাঢ্য অভিনয়জীবন তার। হুমায়ূন আহমেদের নাটক দিয়ে তার শুরু ও জনপ্রিয়তার বিস্তৃতি। যার ধারাবাহিকতা চলছে এখনও সমান্তরাল। তবু হতাশা ঝরছে এই অভিনেতার কণ্ঠে। এ বেলায় এসে তাই তো তিনি নিজেকেই নিজে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন, কেন আমার ভেতরে অভিনয়ের নেশা চাপলো, বলতে পারবো না। আমি জানি না আমার পথের শেষ কোথায়? তবে তার আগে প্রকাশ করেছেন শৈশব স্মৃতি কাতরতা। বলেছেন, লাজুক ও ভীতু প্রকৃতির ছোট্ট ফারুক কবে কোন ফাঁকে নিজের অজান্তেই সাহসী হয়ে উঠলো, অভিনয়ে নিজেকে জড়ালো এবং এতোটা পথ অভিনেতা হয়েই হেঁটে আসলো।
ফারুক আহমেদের ভাষ্য, ‘জীবনে ভাবিনি আমি অভিনেতা হবো। ছোটবেলায় আমি ছিলাম খুব লাজুক প্রকৃতির। নিজের খালারা যখন আমাদের বাসায় বেড়াতে আসতো, আমি তখন দৌড়ে দরজার চিপায় অথবা খাটের নিচে গিয়ে লুকিয়ে থাকতাম। আমার খালাতো ভাইয়েরা সাথে সাথে অভিযানে নেমে পড়তো। এঘর ওঘর খুঁজতে খুঁজতে একসময় আমাকে কোনো এক দরজার চিপা বা খাটের তলা থেকে বের করে নিয়ে আসতো। আমি তখন মাথা হেঁট করে খালাদের সামনে এসে এমন ভঙ্গিতে দাঁড়াতাম, যেন আমি বিরাট এক অপরাধী। কি এক অজানা লজ্জায় তখন আমার মরে যেতে ইচ্ছা করতো। ’ অভিনেতা জানান, এভাবেই নানা ভয়, লজ্জা আর অপমানের ভেতর দিয়ে তার শৈশব-কৈশোরকাল কেটেছে। ফারুক বলেন, ‘সেই লজ্জা আর ভয় কাটিয়ে কখন যে আমি সাহসী হয় উঠলাম নিজেরও মনে নেই। কেন আমার ভেতর অভিনয়ের নেশা চাপলো তাও বলতে পারবো না। আমি জানি না আমার এই পথের শেষ কোথায়?’
টেলিভিশনে লম্বা সময় ধরে কাজ করছেন। এ সময় এসে কাজ কেমন হচ্ছে বলে মনে করেন? ফারুক আহমেদ বলেন, একটা সময় দর্শকদের বিনোদনের জন্য বিটিভি ছাড়া আর কোনো চ্যানেল ছিল না। তখন সবার চোখ থাকতো এই একটি চ্যানেলের দিকেই। এখন কিন্তু দর্শক আর এক চ্যানেলে বন্দি নেই। চ্যানেলের সংখ্যা যেমন বেড়েছে তেমন কাজের সংখ্যাও বেড়েছে। কিন্তু নাটকের মান কমেছে সেটাও বলতে হবে।
ফারুক আহমেদ অভিনয় ব্যস্ততার ফাঁক গলে সম্প্রতি দীর্ঘ বিরতির পর দুটি নাটক রচনা করেছেন ‘দুধের মাছি’ ও ‘ভং’ নামে। অন্যদিকে তার অভিনয়ে ২২ আগস্ট থেকে বিটিভিতে প্রচার শুরু হয়েছে ‘বিদেশি ছেলে’। এটি নির্মাণ করেছেন মীর সাব্বির। এর বাইরে প্রায় প্রতিদিনই শুটিং করছেন বিভিন্ন এক ঘণ্টা ও ধারাবাহিক নাটকে।
© দিন পরিবর্তন