logo

বাংলাদেশও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স ঝুঁকিতে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

Published:19 Feb 2024, 06:52 PM

বাংলাদেশও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স ঝুঁকিতে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী


মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আবদুর রহমান বলেন, রোগসৃষ্টিকারী জীবাণুসমূহ এন্টিমাইক্রোবিয়াল ঔষধসমূহের প্রতি তাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা দিন দিন বৃদ্ধি করে চলেছে। ফলে বিশ্ব জুড়ে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স একটি মারাত্ব`ক জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি হিসাবে দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশসমূহ এ সমস্যায় সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে আছে। আজ (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার গুলশানে বিশ্ব প্রাণিস্বাস্থ্য সংস্থার কারিগরি সহায়তায় অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স প্রতিরোধে এন্টিবায়োটিকের সঠিক ব্যবহার ও করণীয় বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল মানুষ এবং প্রাণী উভয়ের জন্য একটি জীবন রক্ষাকারী ওষুধ। অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ব্যবহারে প্রাণিস্বাস্থ্যের উপর যেমন প্রভাব রয়েছে তেমনি পরিবেশের উপরও প্রভাব রয়েছে। তবে এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স প্রতিরোধে এন্টিমাইক্রোবিয়ালস এর ব্যবহারের পরিমান জানা এবং এগুলোর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা একান্ত জরুরি। এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর)কে জনস্বাস্থ্যের জন্য উদ্বেগজনক।

প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, একটা সময় জীবন বাঁচানোর তাগিদে আমরা এন্টিবায়োটিক পাওয়ার জন্য উদগ্রীব ছিলাম, কিন্তু বর্তমানে এর যথেচ্ছ ব্যবহারের কারণে এটি ভয়ানক রূপে ধরা দিয়েছে। অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স এর অশুভ প্রভাব যেন গবাদিপশু, মাছ, মাংসে না পড়ে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, মানব ও প্রাণিস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর)-এর প্রভাব সম্পর্কে আমাদের কৃষকদের সচেতন করা দরকার। তিনি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়ালের যৌক্তিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল খামার পর্যায়ে কার্যকর নিয়ন্ত্রকের কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন। মন্ত্রী বলেন, প্রাণিজ আমিষ যেমন মাছ, মাংস, ডিম উৎপাদনে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি এবং দুধ উৎপাদনে বর্তমানে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও অচিরেই তা আমরা কাটিয়ে উঠতে পারবো। এসময়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ ভোটের মাধ্যমে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানান মন্ত্রী।

তিনি জানান, বাংলাদেশ একটি জাতীয় এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) সার্ভিলেন্স কর্মপরিকল্পনা ২০২০-২০২৫ প্রণয়ন করেছে এবং একই সাথে এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স বিষয়ক জাতীয় কর্মকৌশল এবং কর্মপরিকল্পনা (২০২৩-২০২৭) চূড়ান্ত করা হয়েছে। এই কর্মকৌশল এবং কর্মপরিকল্পনার আওতায় মানব স্বাস্থ্য, প্রাণিস্বাস্থ্য এবং পরিবেশসহ সকল খাত এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) মোকাবেলায় ওয়ান হেলথ পদ্ধতিতে একসাথে কাজ করবে। তিনি এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর)-এর গুরুত্ব বিবেচনা করে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অংশীজনদের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো: এমদাদুল হক তালুকদার এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো: আলমগীর, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) জনাব মো: সালাউদ্দিন, বিশ্ব প্রাণিস্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. নাহোকো ইডা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ট্যারেন্স টিনো ফুসায়ার বক্তব্য প্রদান করেন।

/মামুন

 



© দিন পরিবর্তন