নিজস্ব প্রতিনিধি
Published:06 Feb 2024, 05:34 PM
বিমানে মারা যাওয়া গোলাপগঞ্জের আছকর আলীর পরিবারে অসহায়ত্ব
সিলেট ব্যুরো :
বিমানে কুয়েত থেকে বাংলাদেশে আসার পথে আছকর আলী নামে মারা যাওয়া এক প্রবাসীর পরিবারে বইছে শোকের মাতম। ঘটনার দুই সপ্তাহ পরও কোনো খোঁজ নেয়নি বিমান কর্তৃপক্ষ বা কুয়েতের তাঁর কর্মস্থলের কেউ। ফলে একমাত্র কন্যা সন্তানকে নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে আছকর আলীর পরিবারের।
আছকর আলী গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের হাজীপুর ঘনশ্যাম গ্রামের মৃত আরব আলীর পুত্র।
বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত সংবাদে জানা গেছে, মো. আছকর আলী নামের ঐ প্রবাসী কুয়েতে একটি ইট তৈরীর কারখানায় কাজ করতেন। দীর্ঘদিন পরে ১৯ জানুয়ারী দেশের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন বিমান যোগে। দুবাই আসার পর ঐ প্রবাসী বিমানেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে বিমানের ফ্লাইটটি কলকাতা নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরী অবতরণ করে। সেখান থেকে বিমান কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় আছকর আলীকে নেয়া হয় স্থানীয় আর-জে কর মেডিকেল কলেজ হসপিটালে। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এদিকে আছকর আলীকে হাসপাতালে রেখেই বিমানের ফ্লাইটটি ছেড়ে ঢাকা চলে আসে। পরে পরিবারের উদ্যোগে ২৪ জানুয়ারী ভারতের কলকাতার ঐ হসপিটাল থেকে বাংলাদেশে আনা হয় আছকর আলীর লাশ। এর পরদিন ২৫ জানুয়ারী নিজ গ্রামে জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্তানে দাফন করা হয়েছে।
এদিকে আছকর আলীর আকস্মিক মৃত্যুতে চরম ভাবে ভেঙ্গে পড়েছে তাঁর পরবিার। বিশেষ করে তার স্ত্রী তানিয়া ইয়াসমিন রেবেকা এবং তাদের একমাত্র কন্যা নুসরাত জাহান নূহা বারবার মুর্চ্ছা যাচ্ছেন। বাবার এমন আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনায় যেন বাকরূদ্ধ হয়ে পড়েছে নূহা। আর চোখে অন্ধকার দেখছেন স্ত্রী তানিয়া। নূহার শিক্ষাজীবন পড়েছেন চরম হুমকীতে। অপরদিকে স্বামীকে হারিয়ে একমাত্র মেয়েকে নিয়ে পড়েছেন চরম বিপাকে তানিয়া ইয়াসমিন।
গ্রামবাসী এ প্রতিবেদককে বলেন, অসহায় পরিবারটির জন্য এলাকার সকলেই আফসোস করছেন।
তারা জানান এ পর্যন্ত আছকর আলীর কর্মস্থল থেকে কেউ কোনো খোঁজ খবর নেয়নি। বিমান কর্তৃপক্ষও কোনো ধরণের যোগাযোগ করেনি। তাদের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দাবী করা হবে বলে জানান আছকর আলীর স্বজনরা।
© দিন পরিবর্তন