logo

বৃষ্টি এলেই পড়ে পানি, জরাজীর্ণ ঘরে কষ্টে বসবাস

নিজস্ব প্রতিনিধি

Published:03 Mar 2024, 05:43 PM

বৃষ্টি এলেই পড়ে পানি, জরাজীর্ণ ঘরে কষ্টে বসবাস


জামাল তালুকদার, দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) :
ঘরের টিনের চাল মরিচা ধরে জরাজীর্ণ হয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে ভিতরে, চারপাশের বেড়া ও দরজা-জানালাগুলো ভাঙাচোরা। বৃষ্টির পানি ঠেকাতে দেওয়া হয়েছে পলিথিন ও কম্বলের ছাউনি। একই অবস্থা শৌচাগারের। এমনই জরাজীর্ণ ও বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌর শহরের দক্ষিণপাড়া এলাকার দুইটি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো।

প্রায় এক যুগ ধরে মেরামত না করায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর গুলোর এই করুণ দশা। ফলে বাসিন্দাদের কষ্টে দিন কাটছে। বাসিন্দাদের দাবি, এবারের বর্ষার আগেই ঘরগুলো মেরামত করে দিলে তারা নিশ্চিন্তে বসবাস করতে পারবেন।

জানা যায় দুর্গাপুর পৌর শহরের দক্ষিণপাড়া এলাকায় খাসজমির ওপর ২০০৮ সালে ছিন্নমূল ও হতদরিদ্র ৪৫০ পরিবারের জন্য "সুসং আশ্রয়ণ প্রকল্প" নির্মিত হয়। পরবর্তীতে ২০১১ সালে আরো ২০০ পরিবারের জন্য "দক্ষিণপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্প" নামে নির্মিত হয়। সেগুলোতে বসবাস শুরু করে পরিবারগুলো। এরপরে গত এক যুগের মাঝে কোনো সময় মেরামত করা হয়নি। ফলে দিনে দিনে নষ্ট হতে থাকে ঘরগুলো। বর্তমানে সুসং আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রায় সবগুলো ঘরই বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সারি সারি টিনের ঘর। প্রতিটি পরিবারের জন্য রয়েছে পৃথক কক্ষ। তবে মরিচা পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে ঘরের টিনের বেড়া ও চাল। কিছু ঘরে চাল একদমই নেই। এসব ঘরে কোনো মানুষও নেই। বাকি জরাজীর্ণ ঘরে বাস করছে পরিবারগুলো।

প্রকল্পের সামনে পৌঁছাতেই ছুটে আসেন সেখানকার বাসিন্দারা। তাঁরা জানান, বর্ষা মৌসুমের বৃষ্টিতে ঘরে পানি পড়ে। তাই তাঁরা চালের উপরে পলিথিন বা কম্বল দিয়ে রেখেছেন। বর্তমানে যে অবস্থা তাঁদের বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

তারা আরও বলেন, পানির টিউবওয়েল সবগুলোই বিকল হয়ে পড়েছে। তবে বাসিন্দারা নিজেদের উদ্যোগে বেশ কিছু টিউবওয়েল বসালেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে জানান তারা। পরিবারগুলোর জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থানে শৌচাগার ব্যবস্থা থাকলেও তা ব্যবহারের অনুপযোগী। তাই প্রতিটি পরিবারকে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে।


এ নিয়ে সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিল ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মতিউর রহমান বলেন, মাননীয় এমপি মোশতাক আহমেদ রুহী মহোদয়ের হাত ধরেই তৈরি হয়েছিল ছিন্নমূল মানুষের এই ঘরগুলো। তিনি এমপি থাকাকালীন সময়ে এইগুলোর প্রতি নজর রেখেছেন কিন্তু ২০১৫ সালের পরে এইগুলোর উন্নয়ন হয়নি। বর্তমানে ঘরগুলোর খুবই বেহাল দশা। সেই এমপি মহোদয় অভিভাবক হিসেবে আবারও আমাদের মাঝে ফিরে এসেছেন। তিনি মানুষের কষ্ট লাঘবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এমনটাই আমরা আশাবাদী। এ ব্যাপারে দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম. রকিবুল হাসান জানান, এ বিষয়ে অবগত নন। তবে খোঁজ নেবেন তিনি।



© দিন পরিবর্তন