নিজস্ব প্রতিবেদক
Published:22 Apr 2024, 07:07 PM
বেনজীরের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে দুদক
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (২২ এপ্রিল) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন আইজিপির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরুর কথা জানিয়েছেন।
দুদক সচিব বলেন, বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন নিয়ে একটি প্রতিবেদন একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। পরবর্তী সময়ে আরও কিছু গণমাধ্যমে একই অভিযোগ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এই অভিযোগগুলোর বিষয়ে দুদক বিধি অনুযায়ী কার্যক্রম শুরু করেছে।
তিনি বলেন, ঈদের পর ১৮ এপ্রিল কমিশনের প্রথম সভায় বেনজীরের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানের অনুমোদন দেওয়া হয়। দুদক আইন অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনুসন্ধান শেষ করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, অনুসন্ধান করতে তিন সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিম তদারক করার জন্য তদারক কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। বিধি অনুযায়ী যা যা করা দরকার তারা তা করবেন।
বেনজীরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান আইওয়াশ কি না- জানতে চাইলে সচিব বলেন, এটা সত্য না। এর আগেও বেনজীরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলেছিল, সেটা নথিভুক্ত হয়েছে।
সেটাকে পুনরায় শুরু করা যায়নি কেন, জানতে চাইলে সচিব বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।
সোমবার বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। দুদক চেয়ারম্যান, সচিবসহ চারজনকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাউদ্দিন রিগ্যান এই রিট দায়ের করেন।
এ ছাড়া বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকে আবেদন দেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রোববার (২১ এপ্রিল) দুদককে দেওয়া ওই আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ৩৪ বছর ৭ মাস চাকরি করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা যায়, বেনজীর আহমেদ তার স্ত্রী ও কন্যাদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি অর্জন করেছেন যা তার আয়ের তুলনায় অসম।
এতে বলা হয়, গত ৩১ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক মহাপরিদর্শক তার স্ত্রী জিশান মির্জা এবং দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন। বেনজীর আহমেদ তার পদের অপব্যবহার করে তার আয়ের তুলনায় প্রতিবেদনে উল্লিখিত সম্পত্তি অধিগ্রহণ করেছেন বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে চিঠিতে জানান ব্যারিস্টার সুমন।
এমন পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, স্ত্রী, বড় মেয়ে ও ছোট মেয়ের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ সংগ্রহের জন্য তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে দুদককে অনুরোধ করেন তিনি।
বেনজীর আহমেদের সম্পদ নিয়ে দুদকের অনুসন্ধান কমিটির সদস্যরা হলেন, উপপরিচালক হাফিজুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক নিয়ামুল হাসান গাজী ও জয়নাল আবেদীন।
© দিন পরিবর্তন