logo

বেরোবিতে ২কোটি ৯২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন মেইনগেট

নিজস্ব প্রতিনিধি

Published:28 Feb 2024, 12:57 PM

বেরোবিতে ২কোটি ৯২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন মেইনগেট


হামিদুর রহমান হামিদ, রংপুর ব্যুরো :
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেট নির্মাণ কাজ শেষ প্রায়।দীর্ঘ প্রত্যাশিত দৃষ্টিনন্দন মেইন গেট ও ক্যাম্পাসের প্রধান সড়ক নির্মাণের বেশিরভাগ কাজ এখন শেষ দিকে বাকি কাজ নির্দিষ্ট সময়ে হয়ে গেলে উদ্বোধন করার অপেক্ষায় বেরোবি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি।

জানা যায়,ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্টারলাইট সার্ভিসেস লিমিটেড কোম্পানির মাধ্যমে ২ কোটি ৮৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ইউ,জে, সি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাময়িক নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্পের কাজ শুরু করেন।অল্প কিছু প্রকল্পের কাজ বাকি থাকলেও প্রায় কাজ শেষ দিকে । টেন্ডারের নির্দিষ্ট সময়ের ভিতরে প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে বললেন ঐ প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদার ইঞ্জিনিয়ার সাইদুর রহমান।

বেগম রোকেয়ার প্রধান প্রকৌশলী বিভাগের কমলেশ চন্দ্র সরকার নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ার তিনি বলেন, জাতীয় স্মৃতিশুদ্ধের উপর কেন্দ্র করে নকশা তৈরি করা হয়েছে। দশটি নকশার মধ্যে বাচাই করে এই মূলগেটটির কাজ শুরু হয়।আশা করা যায় প্রকল্পটি মার্চ মাসের ৩১ তারিখে আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে উদ্ভাবন করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক উমর ফারুক জানান, মূল গেটের সঙ্গে রংপুর বিশ্ববিদ্যালয় বেগম রোকেয়ার নিজ বধ্যভূমির ওপর নির্মিত দেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়টি বিজারিত। তাই এর সাথে আমাদের আবেগ ও নারী জাগরণের বিস্তৃত জড়িয়ে আছে।

এদিকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতি বিজড়িত নতুনদের আকর্ষিত করার মাধ্যমে এই গেটের নকশার মেইন গেটের ডিজাইনে তার সংশ্লেষ রাখা হয়েছে। এর ডিজাইনে মুক্তিযুদ্ধ ও বধ্যভূমির আবহ অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যস্থাপনার অংশ হিসেবে তৈরি হয়েছে।

স্থাপনাটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মুখভাগের প্রবেশ অংশের চিত্র পাল্টে যাবে।একেই সঙ্গে ক্যাম্পাসের প্রধান সড়ক শিক্ষার্থীদের আরো আনন্দিত করে তুলবে। বলা যেতে পারে নতুন রূপে সজ্জিত হবে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়।
মডান মোড় হয়ে পার্কের মোড় কুড়িগ্রাম-মহাসড়কে যাতায়াতের সময় দৃষ্টিনন্দন মেইনগেটের সৌন্দর্য দর্শকদের চোখে আরও মুগ্ধ করবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি দিন পরিবর্তনের নেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বমানে উন্নীত করার জন্য একাডেমিকসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। স্মার্ট ক্লাসরুম, ল্যাব স্থাপন, অবকাঠামো উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ জোরদার করা হয়েছে। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা অভীষ্টে এগিয়ে নিতে চাই। তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজসহ মেইনগেটের ডিজাইনে প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের শিক্ষকদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

একইসঙ্গে তিনি মেইন গেটের কাজটি যাতে যথাযথ মান বজায় রেখে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ হয় সেজন্য নির্মাণ তদারকি কমিটি, অধিকতর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প ও প্রকৗশল বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।

বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০০৮ সালের ১২ই অক্টোবর রংপুর বিশ্ববিদ্যালয় নামে যাত্রা শুরু করে, যা পরবর্তীতে ২০০৯ সালে বাঙালি নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের নামানুসারে “বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর” নামে নামকরণ করা হয়। একে প্রায়ই উত্তরের বাতিঘর হিসেবেও অভিহিত করা হয়। বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটির উদ্বোধন করেন। বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি উত্তরবঙ্গের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সারা বাংলাদেশের ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষায় অসামান্য অবদান রাখছে। ২২ টি বিভাগে প্রায় ৮০০০ শিক্ষার্থী এখানে অধ্যয়ন করছে। এছাড়াও ৩০ জন শিক্ষার্থী ড. ওয়াজেদ রিসার্চ ইনস্টিটিউটে এমফিল-এ অধ্যয়নরত।



© দিন পরিবর্তন