logo

ভূঞাপুরে স্বাক্ষর জাল করে দোকান দখলের চেষ্টা, মামলা না নেওয়ার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

Published:21 Aug 2023, 04:07 PM

ভূঞাপুরে স্বাক্ষর জাল করে দোকান দখলের চেষ্টা, মামলা না নেওয়ার অভিযোগ


টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় স্বাক্ষর জালের মাধ্যমে অবৈধভাবে বায়নাপত্র করে দোকান দখলের চেষ্টা, মারধর, হত্যার হুমকি ও অভিযোগ দেওয়ার পরেও থানায় মামলা না নেয়ার অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক ভুক্তভোগী সংখ্যালঘু পরিবার।

সোমবার (২১ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার গোবিন্দাসী বাজারে ভুক্তভোগী সুরেশ চন্দ্র কর্মকার তার নিজ দোকানে এ সংবাদ সমম্মেলন করেন। স্থানীয় প্রভাবশালী নরুজ্জমান নিরব ও সুরেশ কর্মকারের ত্যাজপুত্র সন্তান বিপ্লব নামের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জাল করে দোকান দখলের চেষ্টা, মারধর ও হত্যার হুমকির অভিযোগ তোলা হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে সুরেশ কর্মকার বলেন, অসুস্থতার কারণে চিকিৎসার জন্য আমি সিরাজগঞ্জ ছিলাম। এই সুযোগে স্বাক্ষর জাল করে দোকান বিক্রির নামে ধর্মন্তারিত হওয়া ত্যাজপুত্র সন্তান বিপ্লবের মাধ্যমে স্থানীয় প্রভাবশালী নরুজ্জামান নিরব ২০ লাখ টাকার বায়নাপত্র করে। পরে বাড়িতে আসার পর বাজার সমিতির কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বায়নাপত্রের বিষয়টি জানতে পারি। 

এর কিছুদিন পর হঠাৎ করে  নরুজ্জামান লোকজন নিয়ে দোকান দখলের জন্য হামলা চালায়। এসময় বাধা দিতে গেলে আমি ও  আমার ছেলে রবি কর্মকারের উপর হামলা করে গুরুত্বর আহত করে। এছাড়াও দুইজন নাতীকেও মারধর করা হয়। পরে জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ ফোন করে সহযোগিতা চাইলে থানা পুলিশ এসে চিকিৎসা গ্রহণের পরামর্শ দেন। 

তিনি আরও জানান, তারপর চিকিৎসা নিয়ে থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বিষয়টির সমাধানের কথা বলে। এরপরও বারবার থানায় গিয়ে প্রতিকার এবং মামলা গ্রহণ করে আইনগত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি থানা কর্তৃপক্ষ। পরে আমরা কোর্টে মামলা দায়ের করেছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, গোবিন্দাসী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ইকরাম উদ্দিন তারা মৃধা, ভুক্তভোগী সুরেশ কর্মকারের ছেলে রবি চন্দ্র কর্মকার ও ছেলের বউ দূর্গা রানী কর্মকার। অভিযুক্ত নুরুজ্জামান নিরব বিদেশে থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে গোবিন্দাসী বাজার সমিতির সভাপতি সরোয়ার হোসেন আকন্দ বলেন, সংখ্যালঘু নিরহ মানুষ পেয়ে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে দোকান দখল করে গিয়েছিল তারা। পরে দীর্ঘদিন দোকান বন্ধ ছিল। পরবর্তিতে বাজার সমিতি কর্তৃপক্ষ দোকান খুলে সুরেশ কর্মকারকে দোকানদারী করতে দেয়া হয়েছে। 

এ ব্যাপারে ভ‚ঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। সুরেশ নামের ওই লোক থানায় আসেনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



© দিন পরিবর্তন