নিজস্ব প্রতিনিধি
Published:04 Feb 2024, 04:25 PM
মধুপুরে বনের গাছ কেটে ফসলী জমিতে রূপান্তর!
টাঙ্গাইল :
টাঙ্গাইলের মধুপুরে বন বিভাগের জমিতে বনজ গাছ বিনষ্ট করে ফসলী জমিতে রূপান্তরিত করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বন বিভাগের বাগান কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, সম্প্রতি উপজেলার কুড়াগাছা ইউনিয়নের মালির বাজার এলাকার মৃত ছানাউল্ল্যাহ তালুকদারের ছেলে বাতেন তালুকদার অরণখোলা সদর বিট থেকে ৮ বিঘা ১০ শতাংশ জমি বরাদ্দ নেন গাছের যত্ন করার মধ্যে বাগানে ভিতরে সাথী ফসল করার জন্য বরাদ্ধ নেয়। সেই জায়গায় বন বিভাগের রোপিত বনজ গাছের চারা বিনষ্ট করে পুরো জমি হাল চাষ করে দখলে নিয়েছে। বিশেষ করে বাগানের সকল গাছ নষ্ট করলে কৌশল অবলম্বন করে বাগানের মধ্যে হালকা কিছু গাছের চারা রেখেছে যাতে কেউ বুঝতে না পারে যে এখানে গাছের বাগান ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এতে সরকারের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি সহ দেশের ক্ষতি সাধিত হচ্ছে বলেও তারা জানান। এঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া জরুরী বলেও জানান তারা।
স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাপ হোসেন বলেন, গত কয়েক দিন আগে এই ভাবে সরকারী সম্পদ বন বিভাগের জায়গায় গাছ নষ্ট করে সে একেবারে স্থায়ীভাবে দখলে নিয়েছে। এতে করে বিটের দায়িত্বে থাকা কোন কর্মকর্তাদের কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।
এলাকাবাসী শাজাহান আলী জানান, বাতেন বিগত সময়ে এবাগান এরিয়ায় বাগান কমিটির সভাপতি ছিলেন দীর্ঘবছর। বর্তমানেও সে বাগানের সভাপতি সে কীভাবে সরকারী গান টিলার দিয়ে হাল চাষ করে বাগানের সব চারাগুলো নষ্ট করে ফেলে ফসলী জমির ক্ষেত তৈরী করেছে। এটা সম্পূর্ণ বেআইনী কাজ করেছে। আমরা চাই যে, সরকারী তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা জরুরী প্রয়োজন।
অরণখোলা সদর বিটের ৯১ সনওয়ারী বাগান কমিটির সহ সভাপতি হারুন হোসেন জানান, বাতেন তালুকদার বাগান কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে আছেন। তার নামে বাগান নিয়েছে এবার। সেই বাগানে ২৫’শ বনজ আকাশমনি গাছের চারা ছিলো। বন কর্মকর্তা বন এলাকার বাইরে ছিলো ঐসময়ই টিলার দিয়ে সমস্ত গাছের চারা ভেঙ্গে নষ্ট করে ফেলেছে। এখন শুধুই ফাঁকা ফসলের মাঠ তৈরী করেছেন। এটা বড় ধরণের অপরাধ করেছে সে। এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরে বাতেন তালুকদার ভূল স্বীকার করে বলেছেন তার ভূল হয়েছে। তবে এই ধরণের ক্ষতি করা তার ঠিক হয়নি। এটার সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
এবিষয়ে বাগান কমিটির সভাপতি ও উক্ত জমির গাছ বিনষ্টের বিষয়ে কথা জানতে গেলে বাতেন তালুকদারের বাড়ীতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি।
অরণখোলা সদর বিট কর্মকর্তা সাইদুর রহমান জানানের কাছে এই জমিতে রোপিত চারা সংখ্যার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি গত নভেম্বর মাসে এই বিটে নতুন যোগদান করেছি। সঠিক জানিনা কত গুলো গাছ ছিলো। তবে, বন এলাকায় যে জায়গা গুলো দেয়া হয় জনগনকে সেই জায়গার বাগানের মধ্যে তারা আনারস সহ বিভিন্ন সাথী ফসল চাষাবাদ করে বনের গাছ গুলোকে দেখভাল করার জন্য। বাতেন তালুকদার বাগান কমিটির সভাপতি তিনি তার নামে এক হেক্টর জমি নিয়ে সেখানকার গাছের চারা নষ্ট করেফেলেছে। এঘটনায় তদন্ত চলছে। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি জানান।
© দিন পরিবর্তন