নিজস্ব প্রতিনিধি
Published:24 Feb 2024, 05:48 PM
মিয়ারমার অনেক আগে থেকেই আমাদের সাথে যুদ্ধ করতে চাচ্ছে :র্যাব ডিজি
গোপালগঞ্জ :
র্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন বলেছেন, এই প্রজন্মকে বাঁচাতে হলে শুধু বই খাতা দিয়ে স্কুলে পাঠালে হবে না। এই বাস্তবতা কিন্তু এখন আর নাই। তাই বাচ্চাদের শৈশব থেকে শিখাতে হবে। বিশ্ববিদ্যাল কলেজে পড়ে কিছুই শিখতে না।নীতি-নৈতিকতা পরিবার থেকেই শিখতে হয়। এ ক্ষেত্রে অভিভাবকদের মূল ভুমিকা রয়েছে ও এরপর শিক্ষকদের।
আজ শনিবার দুপুরে ২০২৩ সালে কাশিয়ানী উপজেলায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও বৃত্তিপ্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশে অভিজ্ঞ লোকের অভাব রয়েছে উল্লেখ করে র্যা ব ডিজি বলেন, দেশে বর্তমানে অভিজ্ঞ লোকের অভাব রয়েছে বলেই আমাদের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। এখনকার প্রত্যেকটি ক্যাডারে মধ্যে পেশাদারিত্বের খুব ঘাটতি রয়েছে। যেমন লেখাপড়ায় ঘাটতি রয়েছে, পেশাদারিত্বে ঘাটতি রয়েছে, শৃঙ্খলায় ঘাটতি রয়েছে। এটাকে যদি আমরা ওভারকাম করতে হলে এখন থেকে চেষ্টা করতে হবে। যাতে যুব সমাজ বা নতুন প্রজন্ম অবাধ্য হয়ে না যায়।
মিয়ারমার প্রসঙ্গে র্যাতব ডিজি বলেন, মিয়ারমার অনেক আগে থেকে আমাদের সাথে যুদ্ধ করতে চাচ্ছে। রোহিঙ্গা ঢুকানো থেকে শুরু করে তারা পায়ে পারা দিয়ে তারা এ কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী দৃঢ় মনোভাবের কারণে এটা থেকে রক্ষা পেয়েছি। এখন যুদ্ধে যাওয়া মনে দেশটা শেষ হয়ে যাওয়া। মিয়ারমারে এখন সামরিক সরকার রয়েছে। তারা আরাকান আর্মির সাথে যুদ্ধ চলছে। তাই ওরা আমাদের সাথে ঝামেলা সৃষ্টি করে ফয়দা লুটতে চাচ্ছে।
মাদক প্রসঙ্গে র্যাফব ডিজি বলেন, মাদক বর্তমানে আকাশ ও সমুদ্র পথে আসছে। মিয়ারমার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাদের দেশে অবৈধ পথে ইয়াবা সহ নানা ধরনের মাদক ঢুকাচ্ছে। আমরা জাল ফেলে রেখেছি। মিয়ারমারের সবচেয়ে বড় গ্যাং স্টার তাকে আমাদের জালের ভিতর ফেলেছি। আমরা হয়তো কিছু করতে পারবো।
তিনি আরো বলেন, মাদক হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যবসা। রাতারাতি ধনী হওয়ার ব্যবসা। এটা জনপ্রতিনিধিসহ সবাই জানে। বিভিন্ন বাহিনীর মধ্যে মাদকসেবী ও ব্যবসায়ী রয়েছে। কোন একক বাহিনীর পক্ষে মাদক নির্মূল করা সম্ভব না। মাদক নির্মূল করতে হলে সকলে মিলে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে র্যা ব ডিজি বলেন, আপনাদের মডেল হতে হবে। কারণ পরিবারের পরেই আপনারদের স্থান। আপনাদেরই সঠিক শিক্ষা দিতে হবে। আপনাদের সুযোগ সুবিধা এখন একটু কম থাকলেও আগামীতে ঠিক হয়ে যাবে।
অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে ডিজি বলেন, ছেলে-মেয়েকে স্কুল কলেজে পাঠিয়ে ঘরে বসে থাকলে হবে না। খবর রাখতে হবে মাদকের সহজলভ্যতা সন্তানটিকে শেষ করে দিচ্ছে কিনা।
এমএ খালেক ডিগ্রী কলেজ মাঠে র্যা ব-৬ এর অধিনায়ক লে.কর্ণেল ফিরোজ কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা ও বৃত্তিপ্রদান অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে এম এ খালেক ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ কেএম মাহাবুব, ভাটিয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জাহিদুর রহমান, জেলা শিক্ষা অফিসার সেলিম তালুকদার, পুলিশ সুপার (অপারেশন) কাজী মাহাবুবুল আলম, ভারপ্রাপ্ত জেলাপ প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
পরে প্রধান অতিথি কাশিয়ানী উপজেলার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের ১০৯ জন কৃতি শিক্ষার্থীকে ১০ হাজার টাকা করে বৃত্তি ও ক্রেস্ট তুলে দেন।
© দিন পরিবর্তন