মুজিব জলবায়ু পরিকল্পনা বাস্তবায়নের তাগিদ

বাংলাদেশের জন্য জলবায়ু পরিবর্তন একটি বড় সমস্যা। এ সমস্যার সমাধাণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবেশ ও জলবায়ু নিয়ে ভাবনার এবং দিকনির্দেশনার আলোকে ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা’ গ্রহণ করা হয়েছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গতি আনতে পরিকল্পনা সুনর্দিষ্ট করার তাগিদ দিয়েছেন বক্তারা।

গতকাল (১৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটে ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পন –গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনার বক্তারা এ তাগিদ দিয়েছেন।

জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটে অতিরিক্ত মহাপরিচালক সুফী জাকির হোসেন বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা বাংলাদেশের জন্য বেঁচে থাকার লড়াই। এ কারণে সরকার জলবায়ু পবির্তনের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। অসংখ্য চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশ সরকার তার জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন কর্মকান্ডের জন্য বিশ্বব্যাপী এক রোল মডেল এ পরিণত হয়েছে।

সেমিনারে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মির্জা শওকত আলী মূলপ্রবন্ধে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবেশ ও জলবায়ু নিয়ে ভাবনার এবং দিকনির্দেশনার প্রতিফলন ঘটানো হয়েছে এ পরিকল্পনায়।

সেমিনারে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সদস্য মালিক ফিদা এ. খান বলেন, বদ্বীপ পরিকল্পনা, এসডিজি এবং স্মার্ট বাংলাদেশ পরিকল্পনায় জলবায়ু ইস্যুটি অগ্রাধিকারে রাখা গেলেই মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সহজ হবে।

স্বাগত বক্তব্য প্রদানকালে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট এর পরিচালক এ, কে, এম আজিজুল হক বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির বিপদাপন্নতা অবস্থা থেকে বেরিয়ে সমৃদ্ধির দিকে যেতে এ পথনির্দেশিকা।

সেমিনারে এটিএন বাংলার সম্পাদক সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম এর নির্বাহী সভাপতি কেরামত উল্লাহ বিপ্লব বলেন, এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে গণমাধ্যমকর্মীরা জনসচেতনতা তৈরীতে কিভাবে ভূমিকা রাখতে পারে তার একটি সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা তৈরী করা প্রয়োজন।

সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম এর সেক্রেটারি জেনারেল আসাদুজ্জামান সম্রাট এবং জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম এবং ড. মো. মারুফ নাওয়াজ বক্তব্য রাখেন। সেমিনারে সরকারি ও বেসরকারি গণমাধ্যমকর্মীসহ জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিউটের বিভিন্ন পার্যায়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
/মামুন