নিজস্ব প্রতিনিধি
Published:20 Jan 2024, 12:13 PM
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ৮৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য
মোঃ আল ইমরান, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
ময়মনিসংহের গৌরীপুর উপজেলার ৮৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই শূন্য অবস্হায় বিরাজমান। এর মধ্যে ৩২টি বিদ্যালয়ে ২০১৮সন থেকে প্রধান শিক্ষক পদে চলতি দায়িত্ব অর্পণ ও ৫২টি বিদ্যালয় চলছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। সহকারী শিক্ষক পদেও ২৭ জনের পদ শূন্য রয়েছে। ফলে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই ২০২৪ সালের জানুয়ারীতেই নানা প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা যায়,গৌরীপুর উপজেলায় ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় রয়েছে ১৭৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এসব প্রতিষ্ঠানে বালক ২৮হাজার ৬৬০ জন, বালিকা ২৯হাজার ৩১৭ জন। মোট শিক্ষার্থী ৫৭ হাজার ৯৭৭ জন। এর মধ্যে ৫২টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও ২৭ জন সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। বিদ্যালয়গুলো হলো লামাপাড়া, জাগরনী, ছিলিমপুর, কড়েহা, নহাটা, ঘাটেরকোনা, সহনাটি, ধোপাজাঙ্গালিয়া, পল্টিপাড়া, ভালুকাপুর, কাশিচরণ, টেংগাপাড়া, বিশ্বনাথপুর, পশ্চিমপাড়া, ধুরুয়া, গিধাউষা, লক্ষীপুর, সিধলা, বেলতলী, উখাকান্দা, হরমুজ আলী, সাতপাই, বেকারকান্দা, ইছুলিয়া মোসলেম উদ্দিন, মুখুরিয়া, মহিশ্বরণ, সহরবানু, ধারাকান্দি, বিষমপুর, চল্লিশা কড়েহা, নিজ মাওহা, কুমড়ী, মাওহা নয়ানগর, লাটুরপায়া, দৌলতাবাদ, বহেড়াতলা, বড়ইবাড়ি, সহনাটি আব্বাসিয়া, আগপাড়া, বেরাটি আজমত আলী, হিরনসনখিলা, সাবদুল সরকার, এম এ জলিল, আজমত আলী মন্ডল, নাপ্তের আলগী, গোবরা, হাসনপুর উত্তরপাড়া, পূর্বপুনরিয়া, চিতরাটিয়া, চাঁনপুর, ঘোষপাড়া, মুক্তিযোদ্ধা পৌর, শৌলঘাই, সুতিরপাড়, শাহাবাজপুর, নন্দুরা, দামগাঁও, আব্দুর রহমান, আহসানপুর ও ডাউকী। তার মধ্যে ১০টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক সংক্রান্ত ঘটনায় মামলা চলমান রয়েছে।সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার নজরুল বলেন,এ বিষয়েও দ্রুত সমাধান আসবে ইনশাআল্লাহ।
এছাড়াও ২০১৮ সালের ২৩ এপ্রিল থেকে ৩২ জন সিনিয়র সহকারী শিক্ষক চলতি দায়িত্বে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। তাদেরকেও এখন পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেয়া হয়নি।
২০১৩ সাল থেকে প্রধান শিক্ষকের পদটি শূন্য রয়েছে। শিক্ষক শূন্যতা বছরের শুরুতেই পাঠদান কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আঞ্জুমান আরা বেগম সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, শূন্যপদের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অনেক পূর্বেই অবহিত করা হয়েছে। এখন তো বিসিএস ননক্যাডার থেকেও প্রধান শিক্ষক দিচ্ছেন অনেক প্রতিষ্ঠানে। পাশাপাশি দীর্ঘদিন পদোন্নতি বন্ধের বিষয়টি সমাধান হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান হবে ইনশাআল্লাহ।
© দিন পরিবর্তন