নিজস্ব প্রতিনিধি
Published:11 Feb 2024, 11:33 AM
রঞ্জিত - আনোয়ারজ্জামানের বন্ধুত্বের বন্ধন অম্লান স্মৃতিতে
শামছুল আলম আখঞ্জী তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ):
দুটি প্রাণের একি আত্মা, মতপার্থক্যের উর্ধ্বে ওঠে,এক মেরুতে দুজন মিলে,তফাৎ নাহি অন্তরে, সুখে দুঃখে এক রঙে, অঙ্গা অঙ্গী হয়ে চলে ,এমন বন্ধুত্বের বন্ধন হিমালয়ের উঁচু ছাড়িয়ে গগণে গিয়ে ঠেকে। যাঁর ফলে বিত্তশালীরা পরাজিত হয়েছে বন্ধুর ভালবাসার কণ্ঠের ধ্বনিতে।কম্পিত হয়ে , ভয়ে কাপেঁ প্রতিপক্ষের দল। মিলনের বন্ধনে বিভক্তরা এক যায় , পরিনত হয় মহা শক্তিতে। বিজয় উল্লাসে মাতিয়ে অম্লান স্মৃতি রয়।,বন্ধু যখন বন্ধুর মঙ্গলে আসে, সাত সাগর তের নদী পাড়ি দিয়ে, এমন বন্ধন দেখে বিভূত সর্বজন । বন্ধু যদি, বন্দুর মতো হয়।আমি দেখেছি, এমন বন্ধুর বন্ধন , এমপি রঞ্জিত - মেয়র আনোয়ারজ্জামান, এই দুজনের মধ্যে রয়।
বন্ধুদয় হলেন, সিলেটের সিটি করপোরেশনের জন নন্দিত মেয়র আনোয়ারজ্জামান চৌধুরী। যাকে সবাই উন্নয়নের ম্যাজিক ম্যান হিসাবে চেনেন,ও জানেন।তিনি যাহা বলেন,তার বাস্তবায়ন করতে মাড়িয়া হয়ে ওঠেন এবং সে কাজের বাস্তব রূপ দিয়ে থাকেন।তিনি তৃণমূল থেকে বেড়েওঠা একজন রাজনৈতিক নেতা।উনি সিলেট জেলার ওসমানী নগর উপজেলার বুরুঙ্গি ইউনিয়নের পশ্চিম তিলাপাড়া ছায়াসুনিবিড় শান্তির এই গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে নৌশা মিয়া চৌধুরী এবং মেছাম্মদ গহিনুন্নেছা চৌধুরীর ঘরকে আলোকিত করে ১৯৭০ সালের ১জানুয়ারী জন্ম গ্রহণ করেন ।
অপর জন্য হলেন, রাজপথ তিল তিল করে বেড়েওঠা মুজিব আদর্শের সৈনিক, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত সুনামগঞ্জ -১ এর সাংসদ এড. রঞ্জিত চন্দ্র সরকার। তিনি তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের শ্রী মনমোহন সরকার,ও বিভা রানী সরকার দম্পতির ঘরকে আলোকিত করে ১৯৭৩ সালের ৩০ই জানুয়ারি মাসে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ছোট্ট কালেই দুরন্তপনা,তীক্ষ্ণ বুদ্ধিমান ছিলেন, যে কারণে অজয় পাড়া গায়ে জন্ম গ্রহণ করেও, সর্ব মানুষের ভালবাসায় সিক্ত, এর ফলেই বিজয়ের মধ্যে দিয়ে রাজ সিংহে অধিষ্ঠিত হয়েছেন তিনি। কলেজ জীবনে,অপরিচিত থেকে পরিচয়, এর সূত্র ধরেই,তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে,ধীরে ধীরে বন্ধুত্বের বন্ধনে গিয়ে পৌঁছে।
তাই তো দার্শনিক এমারসন বলেছেন,একজন বন্ধু হচ্ছেন প্রকৃতির সবচেয়ে বড় মাষ্টার পিস। বন্ধুত্বের গুরুত্ব উপলব্ধি করার জন্যে কবি বা দার্শনিক হওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। আপনার আনন্দ এবং দুঃখে আপনার পাশে কেউ না থাকলে আনন্দ যেমন বহুলাংশে মাটি হয়ে যায়, তেমনি দুঃখ ও সহজে হালকা হয় না। মানুষ যখন বেদনা ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে তখন বন্ধুর কাছে সে প্রথম সান্ত্বনা পায়,আর যখন আনন্দে উদ্বেল হয়ে ওঠে তখন এ আনন্দের খবর সে প্রথম বন্ধুকেই জানায়।
আত্মার শক্তিশালী বন্ধন হল বন্ধুত্ব। ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের কারণে মানুষ সুখী হয়, বিজয়ী হয়। প্রকৃত বন্ধুর অনেক গুলো বৈশিষ্ট্য, স্নেহ, সহানুভূতি, সহমর্মিতা, সততা, পারস্পরিক বোঝাপড়া, সমবেদনা, একে অপরের সঙ্গ, আস্থা, নিজ যোগ্যতা, অনুভূতি প্রকাশ প্রভৃতি অন্তর্ভুক্ত।একে অন্যের সুখে-খুশিতে লাফিয়ে ওঠার; একে অন্যের দুঃখে পাশে দাঁড়ানোর। মন খুলে কথা বলা, হেসে গড়াগড়ি খাওয়া আর চূড়ান্ত পাগলামি করার একমাত্র আধার এ ‘বন্ধুত্ব’।
তাদের দুজনে মধ্যে দার্শনিক দের উল্লেখ করা সবগুলো গুনেই রয়েছে যার কারণে, এত প্রেম, এত উদার, বন্ধুর উদারতার এমন শক্তি, বিভক্ত জনগোষ্ঠীকে এক করতে একটি ভাষনেই যথেষ্ট। প্রমাণ করছেন, সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট বাজারসহ সব কয়েকটি নির্বাচনী এলাকার জনসভায়।
বন্ধুর মঙ্গলে, কখনো অগ্নিঝড়া বক্তব্য, কখনো শান্ত শীতল মধুর কণ্ঠে,কখনো বা উম্মুক্ত জনতার কাছে ভিক্ষা প্রার্থনা, নিজের ব্যক্তি বিসর্জন দিয়ে নতিস্বীকার,কোনো কোনো সময়ে বন্ধুর দায়িত্ব নিজেই, কাঁধে নিয়ে অঙ্গীকারে আবদ্ধ হয়েছেন তিনি।এমন আচরণ ও প্রেমের কাছে সকলেই হাড় মানে,তাই তাঁর শিক্ষায় শিক্ষিত হতে মনের গহীনে ভাবের উদয় হয়,তার আদর্শ, আদেশ বাস্তবায়ন করতে মড়িয়া ওঠে জনতা। এমন প্রেমের শক্তির কাছে প্রতিপক্ষ বা পরাক্রমশালী পরাজয় স্বীকার করে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। তাদের বন্ধুর প্রেম এতই শক্তিশালী।
আমি দেখেছি অনেক বন্ধু, শুনেছি অনেক বন্ধুত্বের গল্প, তবে উনাদের মতো, নিঃস্বার্থ, ব্যতিত্ব বিসর্জন দিয়ে, বন্ধুর জয়ের জন্য উম্মুক্ত সভায় জনতার কাছে রিক্ত হস্তে ভিক্ষা প্রার্থনা করা দেখিনি। কৌশলে নয়,অভিনয়ে নয়,প্রকৃত ভাবে চাওয়া ফুটে ওঠেছে বলিষ্ঠ কণ্ঠে সুরে,মনে হয়েছিল এক অগ্নিগিরি প্রবাহিত হচ্ছে এই মাঠে, উপস্থিত জনতা জ্বালা ময়ী ভাষনে পুড়ে চাইঁ হয়ে গিয়ে ছিল বলেই, প্রকৃত বিবেক জাগরত হওয়ার কারণেই বিজয় সুনিশ্চিত হয়েছে। ।
আমি হতভম্ব হয়েছিল, একে অন্যের প্রতি এতো প্রেমের এত বিশ্বাস , এতো আবেগ,কত উদারতা। এসব আসে শুধু মাত্র আত্মার টান থাকলেই সম্ভব। সূদুর ১০০কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এসে,অজানা অচেনা মানুষের কাছে কাকতি মিনতি করে ভোট প্রার্থনা করেছেন বন্ধুর জয় নিশ্চিত করতে। এমন বন্ধুত্বের বন্ধন খুব কমেই রয়েছে এ ধরায়। তাদের প্রেমের শক্তি,মহা শক্তিতে পরিনত, যাহা আমার মত মানুষের শিকণীয়।
বন্ধুত্বের বন্ধন এমনটাই প্রকাশিত হয়েছিল, সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট বাজারের নির্বাচনী সভায়, নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করছিল,আমি কি? কখনো, কাউকে এমন ভাবে ভালবাসতে পেরেছি , নাকি এমন ভালবাসা পেয়েছি, উত্তরে, না বোধকেই উত্তর এসেছে। সভার কার্যক্রম শেষে, জনতা সভা স্থল ত্যাগ করার আগে থেকে বাহির হয়েেই, অনেক লোকজনতা বন্ধুর কাহিনি নিয়ে আলোচনার ঝড় তোলে ছিল। বন্ধু কাহাকে বলে বুঝিয়ে গেলেন, সিলেট মেয়র আনোয়ারজ্জামান চৌধুরী,এমন বলাবলিতে কলরবমূখর, সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট বাজারের জন সভার উপস্থিত লোকজন মাঝে সৃষ্টি হয়ে ছিল ।
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সম্মানিত নাগরিকগণের পক্ষ থেকে সদ্য নির্বাচিত সংসদ সদস্য এড রঞ্জিত চন্দ্র সরকারকে, গণ সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে বিজয় উল্লাস উপভোগ আয়োজন মঞ্চে,বন্ধু আনোয়ারজ্জামান চৌধুরী আসতে বিলম্ব হওয়ায়,আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য এক বন্ধু, আরেক বন্ধুর অপেক্ষায়,উতলা, অস্তির,অধীর লগ্নে সময়ে হাস্যাজ্জল মুখটা ম্লান হয়ে গিয়ে ছিল বিলম্ব হওয়ার কারণে (এমপি)'র।সেই প্রাণের বন্ধু কথা রাখতে সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব পালন শেষ করেই, উতলা হয়ে রাতের আধারে (প্রায়) ১০০কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে, জীবন ঝুঁকি নিয়ে ছুটে এসেছেন (মেয়র) তাহিরপুরে।
যখনেই মঞ্চে উপস্থিত হলেন,বন্ধুকে দেখা মাত্রই, ম্লান মুখটা চাঁদের আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠেছে এমপি রঞ্জিত সরকারের। তখন গণ সংবর্ধনার মঞ্চে স্লোগান স্লোগানে মুখরিত, স্বাগত জানানোর মধ্যে দিয়ে বিজয়ের উল্লাস পুরোপুরি সফল ও স্বার্থক হয়েছিল, বন্ধুত্বের বন্ধনের মিলনে।
উপস্থিতি লোকজনের মুখে মুখে বন্ধুত্বের গুণকীর্তনের সুবাস ছড়িয়ে ছিটিয়ে গিয়েছিল সারা উপজেলা জোরে, একটাই কথা, এমন বন্ধুত্ব বন্ধন ক'জনার মধ্যে রয়েছে, ওঁরা সফল ওঁরা স্বার্থক বন্ধু ওদের তোলনা হয় না। সুখে দুঃখে একে অন্যের মধ্যে ভাগাভাগি করতে পারে, আজ তার প্রমাণ, এমন বলা বলিতেই রব উঠে ছিল, বন্ধুত্বের বন্ধন দেখে, তাদের এমন আচরণ দেখে ভূয়সী প্রশংসা করেন।তাহিরপুর উপজেলার সম্মানিত নাগরিক বৃন্দ। এই বন্ধুত্বের বন্ধন অম্লান স্মৃতিতে ধরে রাখবে উপজেলা বাসী।
© দিন পরিবর্তন