রাজশাহী থেকে পাচার হওয়া চার কিশোরী উদ্ধার, নারী গ্রেপ্তার

রাজশাহীতে স্কুলে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হওয়া চার স্কুলছাত্রীকে রাজধানী ঢাকার সাভার থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।  বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সাভার এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।  এ ঘটনায় এক নারীকে আটক করা হয়েছে।  ওই চার স্কুলছাত্রীকে ফুঁসলিয়ে ঢাকায় নেওয়ার অভিযোগে নগরীর বুলনপুর এলাকার চাঁদনী নামের ওই নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

চাঁদনী নগরীর রাজপাড়া থানার কোর্ট বুলনপুরের সুরুজ আলীর স্ত্রী।  সে নগরীর মহিষবাথান এলাকার বাসিন্দা।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র মো. রফিকুল আলম জানান, গত ২৬ জুলাই সকালে ৪ কিশোরী (স্কুল শিক্ষার্থী) স্কুলে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়।  কিন্তু বিকেলে তারা বাড়ী ফিরে না আসলে তাদের অভিভাবকরা খুঁজতে শুরু করে।  খোঁজ-খবরের একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন তাদের জানায়, চাঁদনী নামের এক নারী-সহ ওই চার কিশোরীকে নগরীর মহিষবাথান কলোনীর উত্তর পার্শ্বে গেট দিয়ে যেতে দেখেছে।

পরে চাঁদনীর স্বামীর কাছে গিয়ে জানতে পারে চাঁদনী কাউকে না জানিয়ে প্রায় সময় ঢাকায় যায় এবং ১০-১২ দিন পর আবার ফিরে আসে।  চাঁদনীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।  কিশোরীদের অভিভাবকদের ধারণা, আসামি চাঁদনী-সহ তার সহযোগিরা তাদের পাচার এবং যৌন কার্যকলাপের জন্য নিয়ে গেছে।  এক কিশোরীর বাবার এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাজপাড়া থানায় একটি নিয়মিত মামলা হয়।  মামলার প্রেক্ষিতে রাজপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে এসআই সজীবুল ইসলাম ও তার টিম আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করে আটক ও পাচার হওয়া কিশোরীদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করেন।  পরবর্তীতে রাজপাড়া থানা পুলিশের ওই টিম বৃহস্পতিবার রাতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা জেলার সাভার মডেল থানার পূর্ব রাজাসন এলাকা হতে সাভার মডেল থানা পুলিশের সহায়তায় আসামি চাঁদনীকে আটক এবং তার হেফাজত হতে ৪ কিশোরী (স্কুল শিক্ষার্থী)-কে উদ্ধার করে ।

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামি যৌন কার্যকলাপের জন্য কিশোরীদের (স্কুল শিক্ষার্থী) পাচারের কথা স্বীকার করে।  গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।