রোজিনা ইসলামের মুক্তি দাবি বিএনপির

প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার এক বিবৃতিতে সচিবালয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে রোজিনা ইসলামকে ৫ ঘণ্টা আটক রেখে পুলিশের কাছে হস্তান্তর ও তার বিরুদ্ধে মামলার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান মির্জা ফখরুল।

দলটির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ও সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি জানান।

বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই ন্যাক্কার জনক ঘটনায় প্রমাণ হয়, বাংলাদেশে এখন স্বাধীন সাংবাদিকতা এবং তথ্য পাবার কোনো সুযোগ অবশিষ্ট নাই।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘রোজিনা ইসলাম একজন সিনিয়র সাংবাদিক। তার অনেক অনুসন্ধানী ও সাহসী রিপোর্টে সরকারের বিশেষ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনেক বড় বড় দুর্নীতির খবর জনগণ জানতে পেরেছে। সে জন্য সরকার তার ওপর নজরদারি করছিল বলে মনে হয়। আজ পেশাগত কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গেলে একা পেয়ে তাকে অন্যায়ভাবে দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা আটকে রেখে তার ওপর মানসিক নির্যাতন চালানো হয়। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে পুলিশ ডেকে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এ ঘটনা তুচ্ছ বা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, কর্তৃত্ববাদী শাসনে সাংবাদিক দলন এবং সরকারের সীমাহীন দুর্নীতির সংবাদ প্রচারে অব্যাহত প্রতিবন্ধকতার একটি উদাহরণ। রোজিনা ইসলামের মতো সাহসী এবং অনুসন্ধানী সাংবাদিকেরা যাতে আর সরকারের দুর্নীতি, লুটপাট, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতার সংবাদ প্রকাশ না করতে পারে, এ ঘটনার মাধ্যমে তাদেরকে ভয় দেখানো হলো।’

বিবৃতিতে তিনি রোজিনা ইসলামকে মুক্তি, তার বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার ও তাকে আটকে রাখার সাথে জড়িতদের বিচার এবং সাংবাদিক দলন-নিপীড়ন বন্ধ করে স্বাধীন সাংবাদিকতা ও সঠিক তথ্য পাবার অধিকারে সরকারী হস্তক্ষেপ বন্ধের জোর দাবি জানান।