logo

শরীয়তপুরে তিন সরকারি প্রতিষ্ঠানে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল সোয়া ২ কোটি টাকা!

নিজস্ব প্রতিবেদক

Published:31 Aug 2022, 06:23 PM

শরীয়তপুরে তিন সরকারি প্রতিষ্ঠানে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল সোয়া ২ কোটি টাকা!


শরীয়তপুর পৌরসভা, পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার বকেয়া বিদ্যুৎ বিল প্রায় সোয়া দুই কোটি টাকা।  বিল পরিশোধে মাথা ব্যথা নেই সরকারি এ প্রতিষ্ঠানগুলোর ।  বকেয়া বিলের মধ্যে শরীয়তপুর পৌরসভার ১ কোটি ৭৬ লাখ, পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের ৩৬ লাখ ও ক্রীড়া সংস্থার বকেয়া ২ লাখ টাকা।  দপ্তরগুলোতে চিঠি দিয়েও সমাধান পাচ্ছে না ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো)। 

ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ওজোপাডিকো অফিস সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুর পৌরসভা গত ১০ বছরের অধিক সময় ধরে ২ কোটি টাকার বেশি বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়েছে।  একাধিকবার পৌর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েও কোনো সমাধান সম্ভব হয়নি।  বর্তমান মেয়র দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পর কয়েক ধাপে প্রায় ২০ লাখ টাকা বকেয়া পরিশোধ করেছেন।  তবে এখনো তাদের বকেয়া ১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।  বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে।  এছাড়া পুলিশ লাইন্স ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের ৩৬ লাখ টাকার বেশি বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়েছে।  অন্যদিকে শরীয়তপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার ২ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে।  তাদের ও বকেয়া পরিশোধের জন্য একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে।  কোন প্রকার মাথা ব্যাথা নেই তাদের। 

এ ব্যাপারে শরীয়তপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য সেলিম সিকদার বলেন, ক্রীড়া সংস্থার সবাইকে নিয়ে মিটিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিলের বিষয়ে আলোচনা করে ধাপে ধাপে বিল পরিশোধ করা হবে। 

শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট পারভেজ রহমান জন বলেন, আমি দায়িত্ব বুঝে নেয়ার পরে ই দেখি পৌরসভার দুই কোটি টাকার মতো বিল বকেয়া রয়েছে।  এর মধ্যে বকেয়া থাকা বিল থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।  বর্তমানে নতুন করে আসা বিল বকেয়া নেই।  শিগগির বকেয়াট বিল ধাপে ধাপে পরিশোধ করা হবে। 

শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার মো. সাইফুল হক বলেন, আমি গত সপ্তাহে দায়িত্ব গ্রহণ করেছি।  ৩৬ লাখ টাকার বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের বিষয়টি জেনেছি।  বরাদ্দ এলেই বিল পরিশোধ করা হবে। 

ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির শরীয়তপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ কামাল উদ্দিন বলেন, বকেয়া বিলের জন্য তিনটি প্রতিষ্ঠানকেই একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে।  তবে পেছনের বকেয়া থেকে কিছু টাকা পৌরসভা এরই মধ্যে পরিশোধ করেছে। 



© দিন পরিবর্তন