নিজস্ব প্রতিনিধি
Published:28 Feb 2024, 05:22 PM
সবুজ আর বেগুনি রঙের ধান খেতে শস্যচিত্রে 'হৃৎপিণ্ড'
শ্রীপুর(গাজীপুর) :
গাজীপুরের শ্রীপুরে সবুজ আর বেগুনি রঙের ধান খেতে নিপুণ কৌশলে মানুষের হৃৎপিণ্ডের প্রতীক বা ভালোবাসার চিহ্ন শস্যচিত্রে 'হৃৎপিণ্ড' ফুটিয়ে তুলেছেন এনামুল হক নামের এক কৃষক। কৃষক এনামুল হক উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বেকাসাহারা গ্রামের মৃত আব্দুল আওয়ালের ছেলে। মাওনা-বরমী আঞ্চলিক সড়কের পাশে প্রায় ১ বিঘা জমিতে সবুজ আর বেগুনি রঙের ধানের চারা রোপণ করা হয়। সেই চারাগুলোতে এখন হৃৎপিণ্ডের প্রতীক বা ভালোবাসার চিহ্ন দেখা যাচ্ছে।
শস্যচিত্রটি বহু দূর থেকেই এ সড়কে চলাচলকারী সকল মানুষের নজর কাড়ছে।প্রতিদিন সবুজ আর বেগুনি রঙের ধানের খেত দেখতে আগ্রহী মানুষ ভিড় করছে। সরেজমিনে দেখা যায়, রোদের প্রখরতায় সবুজ আর বেগুনি রং আরও গাঢ় রং ধারণ করেছে।কৃষক এনামুল হক বলেন, সবুজ আর বেগুনি রঙের ধান খেতে শস্যচিত্রে 'হৃৎপিণ্ড' দেখতে প্রতিদিন শত শত মানুষ ভিড় করছে। অনেক কৃষক এই ধানের চাষ করতে বীজ চেয়েছেন। সড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা রাস্তায় নেমে ধানখেতের কাছে গিয়ে মোবাইল ফোনে এই ‘হৃৎপিণ্ডে’র ছবি তুলছেন। আশ্চর্য এই শস্যচিত্র কৌতূহলের সৃষ্টি করেছে আশপাশের সবার মধ্যে। এমনকি এই শস্যচিত্র দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে বিভিন্ন বয়সী মানুষ ছুটে আসছেন।
বিশেষ করে তরুণ-তরুণীরা খেতের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন। আলহাজ্ব নওয়াব আলী উচ্চ বিদ্যায়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী তানজুমা আক্তার বলেন,শস্যচিত্রে 'হৃৎপিণ্ড' চমৎকার একটা উপস্থাপনা।কৃষককে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত। টেংরা গ্রামের মামুন বলেন, কৃষক এনামুল হক প্রতিবছর শস্যচিত্রে ভিন্ন ধরনের নকশা তৈরি করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। এর আগে শস্যচিত্রে ফুটিয়ে তুলেছেন মা, বাংলাদেশের মানচিত্র।
এবার শস্যচিত্রে 'হৃৎপিণ্ড'। উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরামা গ্রামের আশরাফুল বলেন, প্রাইভেটকার দিয়ে যাচ্ছি। হঠাৎ চোখে পড়ল শস্যচিত্রে 'হৃৎপিণ্ড।গাড়ি থামিয়ে ছবি ওঠালাম। দেখতে খুবই চমৎকার। মনে মনে কৃষককে ধন্যবাদ দিলাম। রুমানা আক্তার নামে এক পথিক বলেন, এই রাস্তা ধরে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ চোখের সামনে পড়ল এটি। অটোরিকশা থামিয়ে স্বামীর সঙ্গে ছবি ওঠালাম। দেখতে খুবই সুন্দর। যে কারও ভালো লাগবে। এ বিষয়ে কৃষক এনামুল হক জানান, দুই বছর আগে প্রথমবাী তিনি শস্যচিত্রে ফুটিয়ে তোলেন মা। এরপর মানচিত্র। এবার ফুটিয়ে তুলেছেন শস্যচিত্রে মানবদেহের হৃৎপিণ্ড।
বর্তমানে শস্যচিত্রে মানবদেহের হৃৎপিণ্ডটি বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। দূর-দূরান্ত থেকে তরুণ-তরুণীরা এসে ছবি তুলছেন। এনামুল হক আরও জানান, স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে সবুজ আর বেগুনি রঙের ধানবীজ সংগ্রহ করে বীজতলায় তৈরি করেন। এরপর ধানের চারা রোপণ করে এই শস্যচিত্র তৈরি করা হয়েছে। শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমাইয়া সুলতানা বন্যা বলেন, কৃষক এনামুল হক উপজেলার বেকাসাহারা গ্রামে সড়কের পাশে রোপণ করেছেন সবুজ আর বেগুনি রঙের ধান। শস্যচিত্রের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা মানবদেহের হৃৎপিণ্ডটি বহু প্রশংসা কুঁড়িছে।শুনেছি দেখতে খুবই সুন্দর হয়েছে। আমিও দেখতে যাবো।
© দিন পরিবর্তন