নিজস্ব প্রতিনিধি
Published:07 Feb 2024, 02:52 PM
সরকারি বরাদ্দের ঘরের প্রলোভনে নেওয়া টাকা ফেরত চাওয়ায় ইউপি কার্যালয়ে মারামারি
চট্টগ্রাম দক্ষিণ :
দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে সরকারি বরাদ্দের ঘরের জন্য দেওয়া টাকা ফেরত চাওয়ায় চেয়ারম্যান ও পাওনাদারদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সাবেক এমপি আবু রেজা নদভীর শ্যালক চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ চৌধুরী ও দেলোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তি আহত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ৬ই ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুরে উপজেলার চরতী ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটে। পরিষদ কার্যালয়ের চেয়ারম্যানের কক্ষে চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ চৌধুরী দাপ্তরিক কাজ করছিলেন। এ সময় একই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দুরদুরি এলাকার ইউনুসের ছেলে দেলোয়ার হোসেন(৩৭) চেয়ারম্যান রুহুল্লাহর নিকট গিয়ে তাকে সরকারি বরাদ্দকৃত ঘর দেওয়ার জন্য চেয়ারম্যানের নেওয়া ৪৫ হাজার টাকা ফেরত চায়। এ সময় উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি চলতে থাকে।
কাটাকাটির এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ দেলোয়ার কে মারধর করে। সংবাদ পেয়ে দেলোয়ারের গ্রামের লোকজন ও আত্মীয়স্বজনেরা এসে চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ চৌধুরীকে লাঠিপেটা করে। এতে চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ চৌধুরী জখম হন। পরে এলাকাবাসী চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ চৌধুরী ও দেলোয়ার হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ'র বড় বোন রিজিয়া রেজা
চৌধুরী বলেন, চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ বোর্ড অফিসে দায়িত্বরত অবস্থায় ডাকাত সাইফুল মেম্বারের সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা চালিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে রুহুল্লাহকে। এই প্রকাশ্য হামলার মাধ্যমে বোঝা যায় সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার মানুষ কত অসহায় হয়ে পড়েছে এসব সন্ত্রাসীর হাতে।
অভিযুক্ত সাইফুল মেম্বার জানান, 'ঘটনার সময় আমি মামলার হাজিরা দেয়ার জন্য চট্টগ্রাম আদালতে গিয়েছিলাম। অথচ আমার নামে মিথ্যা ও বানোয়াট কথা ছড়ানো হচ্ছে। এসব এলাকার লোকজন সহ্য করবে না।' এ ঘটনার ব্যাপারে আহত দেলোয়ারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দিলে তার ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) প্রিটন সরকার বলেন, প্রাথমিকভাবে জেনেছি চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ সরকারি ঘর দেবেন বলে দেলোয়ার নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৪৫ হাজার টাকা নিয়েছিলেন। ওই টাকার জন্য দেলোয়ার ইউনিয়নে গেলে চেয়ারম্যান তাকে মারধর করেন। পরে দেলোয়ারের লোকজনও চেয়ারম্যানের উপর হামলা করে। আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
© দিন পরিবর্তন