logo

সাময়িক বন্ধের নোটিশ ঝুলিয়ে লাপাত্তা রেস্টুরেন্ট মালিকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

Published:05 Mar 2024, 05:37 PM

সাময়িক বন্ধের নোটিশ ঝুলিয়ে লাপাত্তা রেস্টুরেন্ট মালিকরা


রাজধানীর বেইলি রোডে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের মৃত্যুর পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ-অননুমোদিত রেস্টুরেন্ট ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অভিযানের খবরে ‘সাময়িক বন্ধ’ নোটিশ ঝুলিয়ে লাপাত্তা রেস্টুরেন্ট মালিকরা।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানের খবর পেয়ে সকাল থেকেই খিলগাঁওয়ের শহীদ বাকি সড়কের দুই পাশের শতাধিক রেস্তোরাঁ বন্ধ রেখেছে মালিকপক্ষ।

মালিবাগ চৌধুরীপাড়ার ৫৮৯/সি ঠিকানার ভবনটিতে ‘কাচ্চি ভাই’, ‘সিরাজ চুইগোস্ত’সহ পাঁচটি রেস্তোরাঁ রয়েছে। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, ভবনের মূল ফটকে তালা দেওয়া। ‘রেস্টুরেন্টের উন্নয়নকাজের জন্য প্রতিষ্ঠান সাময়িক বন্ধ’ এমন একটি নোটিশ ঝুলানো। এতে ভবনটি আর পরিদর্শন করতে পারেননি ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম।

পরে সেখানকার বহুতল একটি ভবনে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। সাত তলা ভবনটির প্রতিটি তলাতেই রেস্তোরাঁ ছিল। ভবনের দ্বিতীয় তলায় শর্মা কিং রেস্তোরাঁয় অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। তবে এ সময় রেস্তোরাঁর মালিক বা ব্যবস্থাপক ছিলেন না। তাদের মোবাইলে কল দিয়েও পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া রেস্তোরাঁর কর্মীরাও কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। একই ভবনের তৃতীয় তলায় পাস্তা ক্লাব নামে আরেকটি রেস্তোরাঁয় ঢুকে মালিককে পাননি ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ভবনটি অগ্নিনিরাপত্তার ক্ষেত্রে অত্যাধিক ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ লেখা একটি ব্যানার টানিয়ে দেয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রতিনিধিরা। পরে সাততলা এ ভবনটি সিলগালা করে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, অগ্নিঝুঁকি থাকায় ভবনটি আপাতত বন্ধ থাকবে। ভবন মালিক এবং সংশ্লিষ্ট রেস্তোরাঁর মালিকরা সঠিক কাগজপত্র দেখাতে পারলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে সকালে রাজধানীর বেইলি রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে সুলতান’স ডাইন রেস্তোরাঁ সিলগালা করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। কাগজপত্র দেখাতে না পারায় রেস্তোরাঁটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া ‘নবাবী ভোজ’ নামে বেইলি রোডের আরেকটি রেস্টুরেন্ট সিলগালা করে দেওয়া হয়। অভিযানে রেস্টুরেন্টটি বন্ধ পাওয়া যায়।

রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনির হোসেন বলেন, রাজউক নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে। শুধু রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে না। যেখানে সমস্যা বা কোনো ব্যাত্যয় পাওয়া যাচ্ছে, সেখানেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে ২০ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী ও ৮ জন শিশু। ভয়াবহ এই ঘটনার পরেই অবৈধ-অননুমোদিত রেস্টুরেন্ট ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। অভিযানে নামে রাজউকসহ বিভিন্ন সংস্থা।



© দিন পরিবর্তন