নিজস্ব প্রতিবেদক
Published:10 Mar 2021, 04:23 PM
সেবা খাতের নারী উদ্যোক্তাদের ভ্যাট কমিয়ে ৪% করার সুপারিশ
আসছে বাজেটে নারীদের সেবা খাতের উদ্যোগে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ১৫ শতাংশ থেকে ৪ শতাংশে নামিয়ে আনার সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিডব্লিউসিসিআই)। মঙ্গলবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রাক বাজেট আলোচনায় এ প্রস্তাব তুলে সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট সেলিমা আহমাদ।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের শুল্ক নীতি সদস্য আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া ও মাসুদ সাদিক অংশ নেন।
আগামী বাজেটে নারীদের করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে ৪ লাখ টাকা করার প্রস্তাব দেন সেলিমা আহমাদ।
করোনাভাইরাস মহামারীর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ২০২৪ সাল পর্যন্ত কর মওকুফের পাশাপাশি নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য প্রথম তিন বছর ভ্যাট ও ট্যাক্স মওকুফের সুপারিশও তুলে ধরেন।
নারী উদ্যোক্তাদের জন্য অন্যান্য প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে:
# কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তাদের জন্য আগামী অর্থবছরে ছয় মাসের রেয়াতকালসহ ৪ শতাংশ জামানতবিহীন ব্যাংক ঋণ দেওয়া
# বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রণোদনা প্যাকেজ আগামী অর্থবছরেও চালু রাখা
# পাশাপাশি নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ৫ শতাংশের পরিবর্তে ১৫ শতাংশ ঋণ বরাদ্দ করা
উইমেন চেম্বারের জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি সঙ্গীতা আহমেদ, পরিচালক সেলিনা কাদের এবং প্রীতি চক্রবর্তী এসময় উপস্থিত ছিলেন। একই সময়ে রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে প্রাক বাজেট আলোচনায় অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স (আত্মা) তামাক পণ্যের সহজলভ্যতা হ্রাসে মূল্যস্ফীতি এবং আয় বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তামাপণ্যের ওপর সম্পূরক শুল্ক নিয়মিত বৃদ্ধির সুপারিশ করে।
আত্মার আহবায়ক লিটন হায়দারের নেতৃত্বে আলোচনায় অংশ নেন যুগ্ন আহবায়ক নাদির কিরণ, মিজান চৌধুরী ও সদস্য দৌলত আক্তার মালা এবং হাসান শাহরিয়ার। আত্মার পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন সংগঠনটির সদস্য মনির হোসেন লিটন।
মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য চরম ক্ষতিকর তামাক পণ্যের ওপর নিয়মিত শুল্ক বৃদ্ধির সুপারিশ দিয়ে ধোয়াবিহীন তামাক পণ্য উৎপাদনকারীকে করজালের আওতায় আনার পরামর্শ রাখেন তিনি। এর আগে প্রাক বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে ইন্ডিয়া বাংলোদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ দেশে উৎপাদিত বিভিন্ন প্রসাধনী পণ্যের ওপর আরোপিত সম্পূরক শুল্ক তুলে দেওয়ার সুপারিশ করেন।
তিনি বলেন, আগামী অর্থবছরের জন্য তাদের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি হচ্ছে- প্রতিবেশী ভারত থেকে বিভিন্ন কাঁচামালসহ প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে পরিবহন সমস্যায় পড়েছে।
© দিন পরিবর্তন