নিজস্ব প্রতিবেদক
Published:05 Mar 2024, 03:43 PM
২২ ঘণ্টায়ও নেভেনি কর্ণফুলীর চিনিকলের আগুন
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে এস আলম সুগার মিলে অগ্নিকাণ্ডের ২২ ঘণ্টায়ও আগুন নেভেনি। মঙ্গলবার দুপুর ২টা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসসহ অন্যান্য সংস্থার কর্মীরা আগুন পুরোপুরি নেভানোর কাজ করছেন।
গতকাল সোমবার বিকেল ৪টার দিকে এস আলম সুপার রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামে প্রতিষ্ঠানটির কারখানার গুদামে আগুন লাগে। এর পর থেকে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয় বাংলাদেশ বিমানবাহিনী।
এরপর পর্যায়ক্রমে নৌবাহিনী এবং সেনাবাহিনীও যোগ দেয় আগুন নেভানোর কাজে। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস।
এ ঘটনায় বিভাগীয় কমিশনার, উন্নয়ন (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছেন এবং তিন দিনের মধ্যে তদন্ত করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পার্বত্য জেলা বান্দরবানের সহকারী পরিচালক পূর্ণচন্দ্র মুৎসুদ্দি বলেন, আগুনে পানি পড়লে কার্বন ও অক্সিজেন তৈরি হয়, এতে আগুন ছড়ায় বেশি।
এর পরও আমাদের আগুন গুদাম থেকে যেন বাইরে ছড়াতে না পারে, সেদিকেও নজর ছিল বেশি।
তিনি আরো বলেন, জেলা প্রশাসক ও ফায়ার সার্ভিসের দুটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। তার মধ্যে একটির প্রথম বৈঠকও মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে। তারা পরিদর্শনে আসবে বলেও আমাদের জানিয়েছে।
পরিচালক পূর্ণচন্দ্র মুৎসুদ্দি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের বিভিন্ন টিম যারা রাত থেকে কাজ করেছে, তারা ক্লান্ত হওয়ায় তাদের পরিবর্তন করে নতুন টিম দিয়ে কাজ শুরু করছি। বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের আরো ১০টি ইউনিট কাজে যোগ দিয়েছে। তাদের সঙ্গে কোস্ট গার্ড ও বিমানবাহিনীর একাধিক ইউনিটও কাজ করে যাচ্ছে।
আগুন পুরোপুরি নিভতে কতক্ষণ সময় লাগতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওপরের টিন না সরানো পর্যন্ত কতক্ষণ সময় লাগবে, তা এখনো সঠিক করে বলা যাচ্ছে না। আমরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা যাতে ওপরের টিনগুলো সরানোর ব্যবস্থা করে।
ওপরের টিন সরিয়ে নিলে আগুন নিয়ন্ত্রণের একটা সময় নির্ধারণ করা যাবে।
আগুনে ব্রাজিল থেকে আমদানি করা এক লাখ মেট্রিক টন চিনির কাঁচামাল পুড়ে যাওয়ার তথ্য জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা। পরিশোধনের পর রমজানে এ চিনি বাজারে ছাড়ার কথা ছিল।
© দিন পরিবর্তন