logo

২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে ওষুধের দোকান: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

Published:25 Aug 2022, 06:13 PM

২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে ওষুধের দোকান: স্বাস্থ্যমন্ত্রী


২৪ ঘণ্টা ওষুধের দোকান খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।  আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে দেশের হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান। 

দেশে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ১ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন নির্দেশনা কার্যকরের কথা জানিয়েছে।  এর মধ্যে মধ্যরাত থেকে ওষুধের দোকান বন্ধের কথা বলা হয়েছে।  নির্দেশনায় বলা হয়, ‘সাধারণ ওষুধের দোকান রাত ১২টা থেকে বন্ধ থাকবে।  আর হাসপাতালের সঙ্গে সংযুক্ত নিজস্ব ওষুধের দোকান রাত ২টায় বন্ধ করতে হবে।  ’  এ সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনা উঠেছে। 

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবা হল জরুরি সেবা।  আমরা কোনো হাসপাতালের টাইমিং কমাইনি।  আমরা ২৪ ঘণ্টা সেবা বজায় রেখেছি।  শুধু শুধু অফিস কেন্দ্রিক বা সিভিল সার্জন অফিস সেখানে ৮টা থেকে ৩টা করেছি।  তাছাড়া সব হাসপাতাল তার নিজস্ব গতিতে চলবে।  সেখানে সময়টা অপরিবর্তিত থাকবে এবং ওষুধের দোকানের বিষয়ে আমরা বন্ধ করার জন্য কোন নির্দেশনা দেইনি। ’ 

তিনি বলেন, ‘ওষুধ একটি জরুরি প্রয়োজনীয় বিষয়।  আপনারা জানেন, যেসব প্রতিষ্ঠান জরুরি সেবা দিয়ে থাকে, সাধারণত বন্ধ রাখা হয় না।  ফার্মেসিগুলো কিন্তু ২৪ ঘন্টাই খোলা থাকে।  এ বিষয়ে আমরা কোনো নির্দেশনা দেইনি।  সিটি করপোরেশন যদি এ বিষয়ে কিছু করে থাকে আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করে একটা সুরাহা আমরা অবশ্যই করবো।  আমি মনে করি এটা ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকা প্রয়োজন। ’ 

‘যখনই শুনেছি তখন থেকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।  খোলা ইনশাআল্লাহ থাকবে আমরা মনে করি।  উনারা হয়তো বলেছিল রাতের বিষয়।  এ বিষয়টা অবশ্যই আলোচনার প্রয়োজন থাকে।  উনারা একটা সিদ্ধান্ত দিয়েছে, যে সিদ্ধান্ত আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে দেওয়া হয়নি।  আমরা আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। ’ 

মন্ত্রী বলেন, ‘এরইমধ্যে এ বিষয়ে আমরা আমাদের কর্মকর্তাদেরকে বলেছি, আলোচনা করে এটাকে সুরাহা করার জন্য। ’ 

জহিদ মালেক বলেন, ‘ওষুধের দোকান বন্ধ থাকবে না, খোলা থাকবে।  কারণ এটা একটা প্রয়োজনীয় জিনিস।  যেভাবে হাসপাতাল খোলা থাকবে, সেভাবে ওষুধের ব্যবস্থাও থাকবে। ’ 

তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে তো ওষুধ সরাসরি যায়।  সেখানেতো বন্ধ থাকার কোন সুযোগ নেই। ’ 



© দিন পরিবর্তন