logo

২ লাখ ইভিএম কিনতে ইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

Published:20 Sep 2022, 06:28 PM

২ লাখ ইভিএম কিনতে ইসি


আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নতুন করে ২ লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনা, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের প্রকল্প চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।  এতে মোট ব্যয় হবে আট হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।  প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হচ্ছে পরিকল্পনা কমিশনে। 

গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর নির্বাচন কমিশন ভবনে কমিশন সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।  তিনি বলেন, আপনারা জানেন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে কমিশন সভা ছিল।   সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।  আপনারা এ-ও জানেন, বর্তমানে ৭০টি আসনে ইভিএম ভোটগ্রহণের সক্ষমতা আছে কমিশনের।  ফলে ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট হলে আমাদের আরও ইভিএম মেশিন তথা সরঞ্জাম লাগবে। 

তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে একটি প্রকল্প তৈরির জন্য সচিবালয়কে বলা হয়েছিল।  সেটা তারা তৈরি করে গত সভায় উপস্থাপন করেছিল।  সেখানে আমাদের কিছু প্রশ্ন ছিল।  সে প্রশ্নের উত্তরগুলো সঠিকভাবে দিতে পারেনি বলে আমরা তাদের বলেছিলাম এগুলো ঠিক করে নিয়ে আসার জন্য।  তথ্যগুলো আজকের সভায় যথাযথভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।  নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সব তথ্য ঠিক আছে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

ইসি আলমগীর বলেন, এখন আমরা পরিকল্পনা কমিশনে অনুমোদনের জন্য পাঠাবো।   এর আগে আরেকটি কাজ হচ্ছে, জনবলের জন্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একটি সভা করতে হবে।  

নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অসীম কুমার দেবনাথ বলেন, দেড়শ আসনে ইভিএম ব্যবহার করার জন্য ৮ হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।   এ প্রকল্পের আওতায় প্রায় দুই লাখ ইভিএম কেনা হবে।   এছাড়া ইভিএম সংরক্ষণ জনবল তৈরি ও প্রশিক্ষণের জন্য এখানে ব্যয় রাখা হয়েছে। 

ইভিএম নিয়ে শুরু থেকেই রয়েছে বিতর্ক।   এক পক্ষ এ পদ্ধতির ভোটকে সাধুবাদ জানালেও বিএনপিসহ দেশের অন্যান্য অনেক রাজনৈতিক দল শুরু থেকেই এর বিরোধিতা করে আসছে।   ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও নির্বাচন কমিশন মনে করে, ইভিএমেও সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব।  এক্ষেত্রে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইভিএম পদ্ধতির ভোটকে মডেল হিসেবেও সামনে তুলে ধরছে ইসি।   এরই মধ্যে আগামী জাতীয় নির্বাচনে সারা দেশে অন্তত ১৫০টি আসনে ইভিএমে ভোটগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে কমিশন। 

গত রোববার ইসি আলমগীর জানিয়েছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আমরা সভা করেছি।   তাদের লিখিত বক্তব্য ও ভিডিও ক্লিপের ভিত্তিতে নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।   সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলোর ইভিএম ব্যবহার বিষয়ে দেওয়া মতামত রোডম্যাপে সঠিকভাবে ওঠে আসেনি, গণমাধ্যমের এমন প্রতিবেদন নিয়েও ব্যাখ্যা দেন সাবেক এই ইসি সচিব। 

তিনি বলেন, ভোটার তালিকার সঙ্গে ইভিএমেও ফটো দেখা যায়।   কাজেই কারও আঙুলের ছাপ না মিললেও একজনের ভোট অন্যজন দেওয়ার সুযোগ নেই।   কারও আঙুলের ছাপ না মিললে সেই ফটো মিলিয়ে দেখা হয়। 



© দিন পরিবর্তন