logo

৫০০ মিটার রাস্তায় একাধিক প্রকল্প দিয়ে বিতর্কে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিনিধি

Published:07 Feb 2024, 05:30 PM

৫০০ মিটার রাস্তায় একাধিক প্রকল্প দিয়ে বিতর্কে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে


কমলনগর-রামগতি (লক্ষীপুর):
লক্ষীপুরের কমলনগরে পাঁচশ মিটার রাস্তায় দুটি প্রকল্প দিয়ে বিতর্কে পড়েছেন চরকালকিনি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাস্টার মো. ছায়েফ উল্যাহ। এমন ঘটনায় জনপ্রতিনিধি, সচেতনমহল ও সাধারণ মানুষের মাঝে তীব্র সমালোচনা দেখা দেয়।

জানা গেছে, গেলো বর্ষায় নাসিরগঞ্জ থেকে ইউনিয়ন পরিষদ কাঁচাসড়কটির কিছু অংশ পানির ¯্রােতে ভেঙ্গে গেছে। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যান মাস্টার মো. ছায়েফ উল্যাহ যোগাযোগের জন্য ওই কাঁচা রাস্তাটি পুনঃসংস্কার করেন। কিন্তু রাস্তাটি সংস্কার করতে গিয়ে মেরামতকৃত রাস্তার পাশ থেকেই ভেকু মেশিনের সাহায্যে কাজ করান। এতে যে কোন সময়ে রাস্তাটি আবারো ধ্বসে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে টি.আর, চল্লিশ দিনের কর্মসূচি, ওয়ান পার্সন ও কাবিটা প্রকল্পের আওতায় কাজ করার এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয়রা আরও জানান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিসের দায়িত্বীল কর্তারা দায়সাড়া কাজ দেখে চলে গেছেন। রাস্তাটির ভবিষ্যত কত টুকু এটা না দেখেই পরিদর্শন শেষ করেন তারা। নদীর মাটি দিয়ে পাশ থেকে মাটি তুলে রাস্তাটি সংস্কার করায় আবারো মারাত্মক ঝুঁকিতে ইউনিয়ন পরিষদ সড়কটি। চেয়ারম্যান ও প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের যোগসাজশে সরকারি লক্ষ লক্ষ টাকা লুট হয়েছে স্থানীয়দের দাবি।

এদিকে দীর্ঘ দেড়যুগ ধরে চেয়ারম্যান সুকৌশলে ভোট বন্ধের প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখে মেম্বারদেরকেও তিনি কোন পাত্তা না দিয়ে কাজ করছেন । এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সিংহভাগ পরিষদ সদস্যরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংশিষ্ট ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের সদস্য জানান, ইউনিয়ন পরিষদ কাঁচা রাস্তাটির একটি অংশে মেঘনানদীর পানিতে ভেঙ্গে সকল ধরণের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। পরে চেয়ারম্যান টি.আর প্রকল্পের বরাদ্ধ থেকে আমাকে পিআইসি করে কাজ সম্পন্ন করেছেন। আমি শুধু স্বাক্ষর দিয়েছি। টাকার বিষয়টা চেয়ারম্যান ভালো জানেন।

ইউপি সচিব মো. সজিব জানান, কোন বরাদ্ধ থেকে কাজ হয়েছে বিষয়টি আমার জানা নাই।

চরকালকিনি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাস্টার মো. ছায়েফ উল্যাহ বলেন, রাস্তাটি আমি করেছি। কোন প্রকল্পের কাজ এটি পরিষদে তালিকা দেখে বলতে পারবো। কাজ করতে গেলে অফিসের সকলকে ম্যানেজ করে কাজ করতে হয় বলে মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন তিনি।

উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা পরিতোষ কুমার বিশ্বাস জানান, নাসিরগঞ্জ পাকা সড়কস থেকে উত্তরদিকে ইউনিয়ন পরিষদ যেতে কাঁচা সড়কটি ‘কাবিটা’ প্রকল্পের আওতায় কাজ করা হয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি আরও বলেন , কাজ শেষে নদীর পানিতে চলে গেলে যাবে; তাতে কি সমস্যা?



© দিন পরিবর্তন