logo

৫০ বছর আগে ভাগ্যলিপি রচনা করেছিল বাংলাদেশের সাহসী মানুষ : সোনিয়া গান্ধী

দিন পরিবর্তন ডেস্ক

Published:25 Mar 2021, 09:13 AM

৫০ বছর আগে ভাগ্যলিপি রচনা করেছিল বাংলাদেশের সাহসী মানুষ : সোনিয়া গান্ধী


৫০ বছর আগে বাংলাদেশের সাহসী জনগণ এই উপমহাদেশের ইতিহাস ও ভূগোলের রূপান্তর ঘটিয়েছিল মন্তব্য করে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি সোনিয়া গান্ধী বলেছেন, 'গত পাঁচ দশকে সামাজিক উন্নয়ন, জনগণের অংশগ্রহণ ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বাংলাদেশের যে অভাবনীয় উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা হয়েছে, তা প্রশংসার দাবিদার।'

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনের ৮ম দিনে বুধবার (২৪ মার্চ) এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন সোনিয়া গান্ধী।

ভিডিও বার্তায় ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের উত্তাল সময়ের কথা স্মরণ করে সোনিয়া গান্ধী বলেন, ইন্দিরা গান্ধীর পাশে থেকে ১৯৭১ সালে রূপান্তরের সেসব ঘণ্টা, দিন, সপ্তাহ ও মাসের একজন প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে শেখ হাসিনা ও তার দেশের মানুষের গর্বের অংশীদার হতে পেরে আমি আনন্দিত। 

তিনি বলেন, ৫০ বছর আগে সম্পূর্ণ ভাগ্যলিপি রচনা করেছিল বাংলাদেশের সাহসী মানুষ, যার মাধ্যমে পুরো উপমহাদেশের ইতিহাস ও মানচিত্র বদলে যায়।

ভারতীয় এই রাজনীতিক বলেন, গত পাঁচ দশকে সামাজিক উন্নয়ন, জনগণের অংশগ্রহণ ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্জন রয়েছে। অন্যান্য ক্ষেত্রে অগ্রগতিও অভাবনীয়, যা বৈশ্বিক স্বীকৃতি পেয়েছে।

বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে ভারতের ‘বিশেষ সম্পর্ক’ রয়েছে মন্তব্য করে সোনিয়া বলেন, ‌‘এর অন্যতম কারণ ১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক ঘটনাপ্রবাহে ইন্দিরা গান্ধী বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। এর ফলে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর গভীর বন্ধন তৈরি হয়েছিল, যার ভিত্তি ছিল পারস্পরিক মর্যাদা, সম্মান ও বন্ধুত্ব।’

সোনিয়া গান্ধী বলেন, ১৯৭১ সাল বাংলাদেশের মতো ভারতের জন্যও ছিল বেশ রূপান্তরের সময়। ওই বছর রাজনীতিক ও রাষ্ট্র নেতা হিসেবে ইন্দিরা গান্ধীর বিশালত্ব প্রকাশ ঘটেছিল এবং পরবর্তীতে স্বাধীন জনগণের নেতা হিসেবে বিশ্বমঞ্চে আবির্ভূত হলেন শেখ মুজিবুর রহমান।

তিনি বলেন, আমাদের উভয় দেশ অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও পরিবেশগত নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। এর মধ্যেও মিশ্র ঐতিহ্য ও উদার বহুত্ববাদের কারণে বৈচিত্র্যের উদযাপনের কেন্দ্রে রয়েছে দুই দেশ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এতে সম্মানিত অতিথি ছিলেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং। আলোচনায় অংশ নেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন, সাবেক মন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. রওনক জাহান। এছাড়া ভ্যাটিক্যান সিটি থেকে প্রাপ্ত পোপ ফ্রান্সিস এর ভিডিও বার্তা প্রচার করা হয়।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্বে বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করে বন্ধু রাষ্ট্র ভূটানের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনা, ‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যের ওপর টাইটেল অ্যানিমেশন ভিডিও, ‘ঐ মহামানব আসে’ শীর্ষক রবীন্দ্র সংগীত, ‘অজয়, অমর, অক্ষয়’ শীর্ষক নজরুল সংগীত, ‘লোকনায়ক’ শীর্ষক লোকসংগীত, স্পন্দন পরিবেশিত ‘মহাকালের গণনায়ক : তোরা সব জয়ধ্বনি কর’, বিশেষ নৃত্যানুষ্ঠান ‘শতবর্ষ পরেও’, কনসার্ট ফর বাংলাদেশ-১৯৭১ এর ১ আগস্টের অনুষ্ঠানের চুম্বক অংশ, ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক দেশি শিল্পীদের পরিবেশনা এবং সকল শিল্পীদের সমবেত কণ্ঠে ‘জর্জ হ্যারিসনের বাংলাদেশ’ পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।



© দিন পরিবর্তন