নিজস্ব প্রতিনিধি
Published:12 Sep 2023, 06:37 PM
‘ফ্যাটি লিভার ডিজিজ’থেকে হতে পারে ‘লিভার সিরোসিস’, ‘লিভার ক্যানসারের’
‘ফ্যাটি লিভার ডিজিজ’ রোগটির কথা আজকাল হরহামেশা শোনা যায়। সোজা করে বললে, লিভার বা যকৃতে মাত্রাতিরিক্ত ফ্যাট জমা-ই এই রোগের মূল কথা। কেন হয় এটি? উপসর্গ কী?
‘ফ্যাটি লিভার ডিজিজ’ রোগটি মোটেও সহজ নয়। এ নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই ‘ফ্যাটি লিভার ডিজিজের’ মধ্যে যেমন ‘সিম্পল ফ্যাট’ জমে ওঠা সংক্রান্ত সমস্যা থাকে, তেমনই থাকতে পারে ‘লিভার সিরোসিস’, ‘লিভার ক্যানসারের’ মতো রোগও।
ডাক্তাররা অবশ্য জানাচ্ছেন, বহু সময়ই এই ধরনের রোগের উপসর্গ দীর্ঘদিন ধরে থাকলেও অনেকে এতে আমল দেন না। যেমন পেটের উপরের দিকে ডান অংশে ব্যথা, জন্ডিস এবং ক্লান্তি। উপসর্গগুলো টানা দেখা গেলে অবশ্যই সাবধান হওয়া দরকার।
ফ্যাটি লিভার ডিজিজের সম্ভাব্য কারণ—
রোগ মোকাবিলার জন্য ‘ফ্যাটি লিভার ডিজিজের’ সম্ভাব্য কারণও জেনে রাখা জরুরি। তাতে আগে থেকেই সতর্ক থাকা সম্ভব।
বিশেষজ্ঞদের অনেকের মতে, হালের গবেষণা দেখাচ্ছে অ্যালকোহল এবং একাধিক মেটাবলিক ডিসফাংশনের সম্মিলিত ধাক্কায় এই ধরনের রোগ হওয়ার আশঙ্কা বেশি। যেমন যাদের মেদ বেশি বা ডায়াবেটিস রয়েছে, কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড বেশি, তারা যদি মদ পান করেন, তা হলে ‘ফ্যাটি লিভার ডিজিজ’ হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
হাইপারটেনশনের রোগীদের ক্ষেত্রেও একই সাবধানবাণী শোনাচ্ছেন ডাক্তাররা। এতেই শেষ নয়। উদ্বেগের কথা হলো- যাদের ক্ষেত্রে এই রিস্ক ফ্যাক্টরের একটিও রয়েছে, তারা মদ পান করলে বাকিদের তুলনায় অনেক দ্রুত ফ্যাটি লিভার থেকে হেপাটাইটিস, সেখান থেকে সিরোসিস এবং লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে পড়তে পারেন। অর্থাৎ রিস্ক ফ্যাক্টর থাকলে আগে থেকে সজাগ হওয়া দরকার।
একই সঙ্গে মদ্যপানে রাশ টানাও অত্যন্ত জরুরি বিষয়। ডাক্তারদের বড় অংশ মনে করেন, অল্প-মাঝারি-বেশি, যে কোনো মাত্রায় মদ্যপান লিভারের ক্ষেত্রে ক্ষতিকর হতে পারে। কার ক্ষেত্রে এই ক্ষতির বহর কতটা হবে, সেটা আন্দাজ করা কঠিন। তাই মদ পান থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়। পাশাপাশি নিয়মিত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকা দরকার।
পেটের কোনো সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে ভোগালে ফেলে রাখা যাবে না। বিশেষজ্ঞদের মত- আগাম সতর্কতা ও নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনই এই রোগের হাত থেকে বাঁচাতে পারে অনেককে। পরিশেষে একথা মনে রাখা দরকার, ভয় নয়, সতর্কতাই এই রোগের হাত থেকে বাঁচাতে পারে সবাইকে। আর ডাক্তারি পরামর্শের কোনো বিকল্প নেই। তাই যে কোনো সমস্যা বেশিদিন থাকলেই চিকিৎসকের কাছে যান ও তার পরামর্শ অনুযায়ী চলুন।
© দিন পরিবর্তন